‘গোষ্ঠীকোন্দল তৃণমূলের সিলেবাসের মধ্যেই পড়ে’, ভোটের আগে বেফাঁস শতাব্দী! অস্বস্তিতে দল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অভিনেত্রী থেকে নেত্রী হয়েছেন শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। সিনেদুনিয়ার মতো রাজনীতির ময়দানেও সাধারণ মানুষের অগাধ ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই সাংসদ হিসেবে হ্যাট-ট্রিক করে ফেলেছেন। এবার চতুর্থবারের লড়াই। চব্বিশের লোকসভা ভোটে বীরভূম কেন্দ্র থেকে ফের শতাব্দীকে টিকিট দিয়েছে তৃণমূল (TMC)। তবে তার আগে গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য করে বসলেন তিনি! গোষ্ঠীকোন্দল জোড়াফুল শিবিরের সিলেবাসের অংশ হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেন নেত্রী।

লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে বীরভূম জেলা তৃণমূল (Trinamool Congress) কোর কমিটির বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে কোর কমিটির সদস্যদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের প্রার্থী শতাব্দী রায় এবং বোলপুরের প্রার্থী অসিত মাল। ওই বৈঠকে বীরভূম জেলায় লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) ‘রণনীতি’ তৈরি হয়েছে বলে খবর।

তৃণমূলের অর্ন্তদ্বন্দ্ব থেকে শুরু করে বিজেপির দখলে থাকা দুবরাজপুর বিধানসভা থেকে ‘ভোট টানা’র কৌশল, সবকিছু নিয়েই জেলা তৃণমূল কোর কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকের মুখোমুখি হন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী। সেখানে গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। তখনই জোড়াফুল প্রার্থী বলেন, এটা এখন তৃণমূলের সিলেবাসের অংশ হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ কয়লা দুর্নীতি মামলায় অভিষেককে নিয়ে বিরাট রায় সুপ্রিম কোর্টের

শতাব্দীর কথায়, ‘কোথায় গোষ্ঠীকোন্দল হচ্ছে সেটা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ো না। কারণ এখন যারা গোষ্ঠীকোন্দলের রিপোর্ট করছে, কয়েকদিন পরে তাঁদেরই হাত ধরে ভোট করতে দেখা যাবে। তখন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সেই রিপোর্ট বেকার হয়ে যাবে’। সাঁইথিয়া অঞ্চল কমিটি তৈরি নিয়ে জোড়াফুলের দু’টি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর সামনে আসে। এই নিয়েও প্রশ্ন করা হয় তৃণমূল নেত্রীকে।

satabdi roy tmc

তখনই শতাব্দী বলেন, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখন দলের সিলেবাসের অংশ হয়ে গিয়েছে! বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থীর কথায়, ‘এটা এখন তৃণমূলের সিলেবাসের মধ্যে পড়ে গিয়েছে। ভোট চলে এলে সবাই মিলে একসঙ্গে তৃণমূলের হয়ে কাজ করবে’। তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে গেরুয়া শিবিরের কটাক্ষ, ‘কাটমানির ভাগ নিয়ে লড়াইটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অন্যতম কারণ। কে কত টাকার ভাগ নেবে সেটা নিয়ে কোন্দল’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর