নির্বাচিনের প্রার্থী বাছাই নিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্ব টিম তৃণমূলের অন্তরেই, প্রশান্ত কিশোর বনাম শুভেন্দু

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আসন্ন নির্বাচনে নিজেদের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে তৃণমূল (TMC) বাহিনী। ভোটের আগে তৃণমূল সদস্যরা দু- আড়াই মাস রাস্তায় থেকে সাধারণ মানুষের সুবিধা অসুবিধা দেখার পরিকল্পনা করেছে। ভোটের মূল বিষয় প্রার্থী বাছাই। আর এই প্রার্থী বাছাই নিয়ে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বৈঠক-সহ প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শাসকদল তৃণমূল।

suvendu

এবারের তৃণমূলের নতুন কর্মসূচি ‘বাংলার গর্ব মমতা’, যা ইতিমধ্যেই পালন শুরু হয়েছে সমগ্র রাজ্য জুড়ে। শনিবার থেকে জেলায় এই কর্মসূচি পালন শুরু হয়ে গেছে। এবারে পূর্ব মেদিনীপুরের তিন পুরসভা তমলুক (Tamluk), কাঁথি ও এগরায় ভোট হবে। তবে কলকাতায় (Kolkata) এই কর্মসূচি ঘোষণা হওয়ার দিন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং কাঁথি ও তমলুকের সাংসদ শিশির ও দিব্যেন্দু অধিকারীর উপস্থিত ছিলেন না এই সভায়। তাঁদের এই অনুপস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে বিরোধীদের মধ্যে। এমনকি শনিবার জেলাতেও কর্মসূচি পালনে দেখা যায়নি শুভেন্দুকে। নির্বাচনের এই কর্মসূচীতে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অংশগ্রহণ না করায়, নির্বাচনে তার ভূমিকা নিয়েও নানান প্রশ্ন উঠছে।

লোকসভা ভোটে এগরা ও তমলুকে পিছিয়ে পড়ায় এবার সেখানে দলের কর্মী ও এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য তালিকা তৈরি করছে প্রশান্ত কিশোরের টিম। তমলুক পুরসভার এক বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলরের বলেন, ‘‘প্রত্যেকবার পুরভোটে প্রার্থী বাছাই নিয়ে শুভেন্দুবাবু ও শিশিরবাবু প্রধান ভূমিকা পালন করেন। কিন্তু এবার পিকে’র টিম এলাকায় ঘুরে মতামত সংগ্রহ করছে। তাই এবার প্রার্থী নির্বাচন বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে আমারা অনেকেই সংশয়ে রয়েছি। সেই কারণে আমরা প্রচারেও নামতে পারছি না।’’

কাঁথি শহর তৃণমূল সভাপতি সিদ্ধার্থ মাইতি বলেন, ‘‘আমরা ওয়ার্ড ভিত্তিক আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করছি। পুরসভা ভোটে প্রার্থী বাছাই নিয়ে শুভেন্দুবাবুর সঙ্গেও আমরা আলোচনায় বসব। প্রার্থী বাছাই নিয়ে শুভেন্দুবাবুই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন’’।

‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচি পালনে প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) টিমের নির্দেশ অনুসারে দলীয় নেতাদের কাজ ভাগ করে দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। সকলে তাঁদের কথাই মেনে চলছে। তবে শুভেন্দু অধিকারী এই কর্মসূচিতে যোগ না দেওয়ায় নানান প্রশ্ন উঠেছে। আর এই সময় প্রার্থী বাছাই ঠিক কারা করবে, তা নিয়েও দলের মধ্যে জল্পনা কল্পনা শুরু হয়ে গেছে।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর