বাংলা হান্ট ডেস্ক : গত ১০ তারিখ কর্ণাটকের (Karnataka) ২২৪টি বিধানসভা আসনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিধানসভা নির্বাচন। আজকে সেই রাজ্যে ভোট গণনা হবে। ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হতেই প্রায় সব বুথ ফেরৎ সমীক্ষা কংগ্রেসকে (Congress) এগিয়ে রেখেছিল নির্বাচনে। তবে ত্রিশঙ্কু বিধানসভার আভাসও মিলেছিল সেই সমীক্ষায়।
কংগ্রেস এগিয়ে ১১৯টি আসনে। বিজেপি (Bharatiya Janata Party) এগিয়ে ৮১টি আসনে। অপরদিকে জেডিএস এখন এগিয়ে ২০টি আসনে। ১৯৮৫ সাল থেকে কখনও কোনও দলকে পরপর দু’বার ক্ষমতায় ধরে রাখেনি কর্ণাটক। এবার সেই রীতি কি ভাঙবে, উত্তর মিলবে আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই।
গতবার জেডিএসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়তে মরিয়া ছিল কংগ্রেস। তবে তার আগেই সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছিল বিজেপি এবং সরকার গঠন করে ফেলেছিল। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। কিন্তু মাত্র তিনদিন টিকেছিল বিজেপি সরকার। তারপর জেডিএসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করেছিল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কুমারস্বামী। কিন্তু সেই জোট সরকারও বেশিদিন টেকেনি। ১৪ মাসের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল। এবারও ভোটের ফলাফলের পর তাই ‘রিজর্ট রাজনীতি’ হয় কি না, সেদিকে থাকবে নজর।
২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে একক বৃহত্তম দল হয়েছিল বিজেপি। জিতেছিল ১০৪ টি আসনে। কংগ্রেসের ঝুলিতে ৮০ টি আসন গিয়েছিল। জেডি(এস) জিতেছিল ৩৭ টি আসনে। একটি করে আসনে জিতেছিল নির্দল, বিএসপি এবং কর্ণাটক প্রজ্ঞাবন্ত জনতা পার্টি। অর্থাৎ কোনও দলই ‘ম্যাজিক ফিগার’ (১১৩) পার করতে পারেনি।
যে সমস্ত প্রার্থীরা নজর কাড়ছেন তাঁদের মধ্যে অবশ্যই মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি প্রার্থী বাসবরাজ বোম্মাই। সঙ্গে বিজেপির আর অশোক, বিজেপি সাধারণ সম্পাদক আর রবির ওপরও নজর থাকবে। কংগ্রেসের ডিকে শিবকুমার ও সিদ্দারামাইয়া রয়েছেন। এছাড়াও জেডিএসের এইচ ডি কুমারস্বামীও রয়েছেন লড়াইতে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার পুত্র লড়ছেন এবারে। এদিকে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুনের ছেলে প্রিয়াঙ্ক খাড়গেও লড়ছেন।