বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কংগ্রেসের পোড় খাওয়া রাজনীতিকদের মধ্যে একজন হলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। বহরমপুরের টানা পাঁচবারের সাংসদ। চলতি বছর অবশ্য তৃণমূলের ইউসুফ পাঠানের কাছে পরাজিত হয়েছেন তিনি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদেও এখন নেই। এবার সেই অধীরের হাতেই বিরাট দায়িত্ব তুলে দিল হাত শিবির।
অধীরকে (Adhir Ranjan Chowdhury) এবার কোন ভূমিকায় দেখা যাবে?
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনের সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরেই ঝাড়খণ্ড ভোটের পর্যবেক্ষক হিসেবে অধীরকে বেছে নেওয়া হল। বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ, কংগ্রেসের (Congress) লোকসভার প্রাক্তন দলনেতাকেই এবার দেখা যাবে নয়া ভূমিকায়। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, বিজেপিকে রুখতেই এই ‘মাস্টারস্ট্রোক’ খেলেছে রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়্গেদের দল।
আসন্ন ঝাড়খণ্ড বিধানসভা ভোটের (Jharkhand Assembly Elections) অন্যতম ইস্যু হল বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ। বিশেষ করে সাঁওতাল পরগণা ডিভিশনে এটি নির্ণায়ক ইস্যু হতে চলেছে বলে মনে করছেন অনেকে। পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, মালদহকে করিডর করেই সাঁওতাল পরগণায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ‘১ নভেম্বরের মধ্যে…’! আরজি কর মামলায় নয়া মোড়? এবার সময়সীমা বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট
ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল পরগণায় আদিবাসী মানুষদের জমি দখল করছেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। যার প্রভাব আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার জনবিন্যাসে পড়ছে। সেখানকার জনবিন্যাস বদলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।
ঝাড়খণ্ডে উনিশের বিধানসভা ভোটে সাঁওতাল পরগণা ডিভিশনের ১৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৪টিতে জয়ী হয়েছিল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। বাকি আসনে বাজিমাত করেছিল পদ্ম শিবির। অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের বিরুদ্ধে আবেগকে কাজে লাগিয়ে সাঁওতাল পরগণা ডিভিশনের জনতার মধ্যে অনুপ্রবেশের ইস্যুকে পোক্ত করতে চাইছে পদ্ম শিবির। এবার সেটা আটকাতেই কংগ্রেসের তরফ থেকে পাল্টা অধীরকে (Adhir Ranjan Chowdhury) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ড ভোটে পর্যবেক্ষণ হিসেবে অধীরের পাশাপাশি আরও দু’জনকে নিযুক্ত করেছে কংগ্রেস শিবির। বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদের পাশাপাশি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তেলেঙ্গানার উপমুখ্যমন্ত্রী ভাট্টি ভিক্রামার্কা মাল্লু এবং তারিক আনোয়ারকে।