ঝালদায় ব্যালট পেপার নিয়ে চম্পট দিয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলররা! বিস্ফোরক অভিযোগ কংগ্রেসের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল ৭-০ ভোটে পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদায় (Jhalda) পুরবোর্ড গড়েছে কংগ্রেস (Congress)। দীর্ঘ টানাপড়েন শেষে সাত কাউন্সিলরের পুরবোর্ডের দখল পেয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু তাতেও বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছেনা এই পুরসভার। এবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে (Trinamool) নয়া অভিযোগ নিয়ে হাজির বিজয়ী দল। কংগ্রেসের অভিযোগ, নিয়ম মেনে এদিন ভোটের ব্যালট পেপার জমা দেননি তৃণমূলের কাউন্সিলরা। উল্টে সেই ব্যালট পেপার হাতে নিয়ে তাঁরা পালিয়ে গেছেন। এর পরেই শুরু রাজনৈতিক তরজা।

কংগ্রেসের অভিযোগ, তাঁরা এই সমস্ত বিষয়টা ইমেল করে পুলিশকে অবগত করেছেন। কংগ্রেস কাউন্সিলর বিপ্লব কয়াল জানান, পুলিশ লিখিত অভিযোগ না নেওয়ায় ইমেল করে বিষয়টি জানানো হয়েছে। থানায় পাশাপাশি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এবং পুলিশ সুপারের কাছেও ইমেল মারফত অভিযোগ জানান তিঁনি। তৃণমূলের পাঁচ কাউন্সিলরের মধ্যে একজন বাদে বাকি চার কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ব্যালট পেপার নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলে ঝালদা থানায় এই অভিযোগ জানিয়েছে কংগ্রেস। অন্যদিকে, তৃণমূলের দাবি, পাল্টা তৃণমূলের দাবি তাঁরা এসব কিছু করেননি। তাঁদের তরফে কোনও বেনিয়ম হয়নি। শুধু তাই নয় ব্যালট পেপার ইস্যু নিয়ে পাল্টা তাঁরাও আইন ভাঙার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন।

বিতর্ক বিষয়ে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতো বলেন, “ওদের একজন মনে হয় ভোট দিয়েছে। চারজন ব্যালট পেপার নিয়ে পালিয়েছে। আমরা অবাক হয়ে গেলাম, আদালত নির্দেশ দিয়েছে জেলাশাসক ভোট প্রক্রিয়া সুপারভাইজ করবেন। জেলাশাসকের প্রতিনিধি হিসাবে এসডিও ছিলেন। অথচ তাঁর ভূমিকা অবাক করার মতো। আমরা হাইকোর্টে এ বিষয়টা তুলে ধরব। দেখা যাচ্ছে, এসডিওর উপস্থিতিতেই কয়েকজন কাউন্সিলর ব্যালট পেপার নিয়ে চলে যাচ্ছেন। অথচ উনি না নিজে আটকাচ্ছেন না পুলিশকে বলছেন। পুলিশও ওদের, প্রশাসনও ওদের। কী মানসিকতা জানি না। তবে আমাদের কাউন্সিলররা এর বিরোধিতা করেছে। এফআইআরও দায়ের করা হবে।”

tmc cong flag

অন্যদিকে পাল্টা তৃণমূল কাউন্সিলর সুরেশ আগরওয়ালের বক্তব্য, “ভোটটা তো নিয়ম মেনেই হল না। ভোটে আবার কবে সকলে একসঙ্গে ব্যালট পেপার পায়? একজন ভোট দেওয়ার পর অন্যজনের হাতে ব্যালট পেপার দেওয়া হয়। এখানে তো ১১টা ব্যালট একসঙ্গে ইস্যু করা হল। আমি এর বিরোধিতা করি। স্পষ্ট বলি, এটা তো নেব না। সবকিছুর একটা নিয়ম আছে। ব্যালট পেপার রাখাই আছে। ফাঁকা পড়ে আছে। ১১টা ব্যালট পেপার ইস্যু হয়েছে, ৭টা ব্যালট পেপার খামের ভিতর আছে। বাকিগুলো বাইরে পড়ে আছে। আদালত বুঝবে সবটা। আমি জেলাশাসককেও জানিয়েছি।”


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর