বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কংগ্রেস দাবি করেছে যে, বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতেই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে তীরথ সিং রাওয়াতকে সরিয়েছে। শনিবার একটি প্রেস কনফারেন্স করে উত্তরাখণ্ড বিধানসভার উপ- বিরোধী দলনেতা করণ মহারা বলেন, তীরথ সিং বলেছিলেন যে রাজ্যের সাংবিধানিক সংকট এড়াতেই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন, কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল তথ্য।
উল্লেখ্য, উত্তরাখণ্ডে শনিবার নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন পুস্কর সিং ধামী। যেহেতু উত্তরাখণ্ডে একবছরেরও কম সময় রয়েছে বিধানসভার নির্বাচনের, সেই কারণে সেখানে উপ-নির্বাচন করানো সম্ভব নয়। তীরথ সিং রাওয়াত বিধানসভার সদস্য ছিলেন না, ওনাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল থাকার জন্য ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসতে হত, কিন্তু বর্তমানে নির্বাচন করানো সম্ভব নয় বলেই তিনি নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন।
কংগ্রেস নেতা মহারা বলেন, বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হতে চাইছে না বলেই নতুন ফন্দি আঁটছে। মহারা বলেন, পশ্চিমবঙ্গের উপ-নির্বাচন পিছিয়ে দিতেই বিজেপি তীরথ সিং রাওয়াতকে বলির পাঁঠা হিসেবে ব্যবহার করেছে। পশ্চিমবঙ্গে উপ-নির্বাচন না হলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে হবে।
করণ মহরা বলেন, ‘প্রকৃত সত্য হল, বিজেপির নিশানায় তীরথ সিং ছিল না, ওদের নিশানায় রয়েছেন মমতা ব্যানার্জী। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে, বিজেপি সেটা বরদাস্ত করতে পারছে না। লালকৃষ্ণ আদবানি আর মুরলী মনোহর জোশির সঙ্গে কি হয়েছে তা আমরা সবাই জানি।” তিনি বলেন, কেন্দ্র সাংবিধানিক অধিকারের দুর্ব্যবহার করছে, আর সেটা সুনিশ্চিত করতেই তীরথ সিংয়ের বলিদান দেওয়া হয়েছে। যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনে না লড়তে পারেন।
যদিও, তৃণমূলের তরফ থেকে এই বিষয়ে মমতা ব্যানার্জীর উপর কোনও চাপ পড়বে সেই তত্ত্ব খারিজ করা হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, রাজ্যে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফিরেছি আমরা, সেই কারণে উপনির্বাচন না করানোর কোনও মানেই হয়না। আশাকরি নির্বাচন কমিশন খুব শীঘ্রই উপ-নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে।