বিজেপিকে আটকাতে বাম- কংগ্রেস এক ঘাটে, দিশাহারা সোনিয়া দিলেন বঙ্গ রাজনীতিতে জোটের বার্তা?

 

অমিত সরকার: বঙ্গ রাজনীতি নিয়ে কংগ্রেস হাইকমান্ডের নতুন সিদ্ধান্ত। জোটের পক্ষে কথা বললেন সোনিয়া গান্ধী। কিন্তু ভোট সাহিত্যে সব কেমন যেন। সবকিছু পাল্টে যায় মুহূর্তের মধ্যে। সোনিয়া গান্ধী যখন জোটের বার্তা দিচ্ছেন তখন বঙ্গ রাজনীতির প্রধান অধীর চৌধুরী এইমতে কতটা সারা দেয় তার ওপর নির্ভর করছে কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ।

ভোট রাজনীতি হয় না এমন কিছু নেই। এজন্য বড় পরিবর্তনশীল এক ময়দান। যখনই কংগ্রেস সরকার বিপাকে পড়েছে তখনই বাম তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।বিধানসভা 2016 জোটের ব্যর্থতার পর লোকসভা ভোটে পৃথক পৃথকভাবে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। এবং কংগ্রেস এর জমি হারানোর ভয় বরাবরই ছিল। বাম সংগঠন গুলিও এর মধ্যে। কিন্তু কংগ্রেস এভাবে তার জমি হারিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তাতে অনেকটাই সিঁদুরে মেঘ দেখছে।

IMG 20191013 134418 1

কংগ্রেসে অন্যান্য মহল সিট রফা দফা নিয়ে শেষ পর্যন্ত কোন সমাধান সূত্র বেরোয়নি। লোকসভা ভোটে একা লড়তে হয়েছে দুই পক্ষকেই। এবার সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আবারও আসন সমঝোতার পক্ষে হাঁটতে চাইছে দুটি দল। ইতিমধ্যে বামের শীর্ষ নেতাদের সাথে কংগ্রেসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেখা গেছে। সোনিয়া গান্ধী বাম ও কংগ্রেসের সখ্যতা আরো মজবুত হোক চাইছেন।

শুক্রবারের বৈঠক শেষে আব্দুল মান্নান জানান, “আমরা রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। সোনিয়াজি নির্দেশ দিয়েছেন বামেদের সঙ্গে যৌথ আন্দোলনে নামতে। বাম-কংগ্রেস জোটের পক্ষে বৃহত্তর জনমত তৈরি করতে। তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে একযোগে আন্দোলনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।” শুধু এটাই নয়, সোনিয়া মান্নানকে এটাও বলেন যে, রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোট অটুট থাকলে আজ বিজেপির এই উত্থান হত না। এ প্রসঙ্গে মান্নান বলছেন, “বৈঠকে সোনিয়াজি আমাকে জানিয়েছেন, ২০১৬ বিধানসভার মতোই যদি বাম-কংগ্রেস জোট অটুট থাকত তাহলে বাংলাার রাজনৈতিক পরিস্থিতি অন্যরকম হত। বিজেপি আজ বাংলায় এত জমি তৈরি করতে পারত না।”

সম্পর্কিত খবর