বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বুধবার কংগ্রেসকে (Congress) মনে করিয়ে দিলেন যে, নাগরিকতা সংশোধন আইন নিয়ে সমালোচনা আর বিরোধিতা করার আগে তাঁরা যেন ১৯৪৭ সালে নিজেদের আনা প্রস্তাব দেখে নেয়। অমিত শাহ বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং (Manmohan Singh) এর সাথে সাথে কংগেসকে মহত্মা গান্ধী, জওহর লাল নেহেরু আর সরদার প্যাটেলের বক্তবও যেন দেখে। অমিত শাহ বলেন, ‘কংগ্রেস CAA নিয়ে বিরোধিতা করার আগে, আর এই নিয়ে গোটা দেশে গুজব আর অশান্তি ছড়ানোর আগে মহত্মা গান্ধী, জওহর লাল নেহরু, ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ আর সরদার প্যাটেলের ২৫ নভেম্বর ১৯৪৭ সালের কার্যকারিণী প্রস্তাবকে পড়া উচিৎ।” অমিত শাহ বলেন, কংগ্রেসকে নিজের দলের নেতা তথা রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এর বয়ানও শোনা উচিৎ।
একদিন আগেই নাগরিকতা সংশোধন আইন (Citizenship Amendment ACT) নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (MHA) পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) মোদী সরকারের (Modi Sarkar) অবস্থান স্পষ্ট করছিলেন। জামিয়ার পরে সিলমপুরে শুরু হওয়া হিংসার পর অমিত শাহ বলেন, সমস্ত বিরোধী দল জনতাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। দিল্লীতে একটি অনুষ্ঠানে অমিত শাহ বলেন, যাদের বিরোধিতা করার তাঁরা করুক, কিন্তু মোদী সরকার (Modi Sarkar) বিরোধিতার কারণে ঝুঁকবে না, সরকার নাগরিকতা আইন লাগু করতে বদ্ধপরিকর। উনি বলেন, শরণার্থীদের নাগরিকতা দেওয়া হবে। শরণার্থী ভারতের নাগরিক হবেন, আর সন্মানের সাথে গোটা দুনিয়ায় বাস করতে পারবেন।
Ministry of Home Affairs (MHA) sources: #CitizenshipAmendmentAct has nothing to do with deportation of any foreigner. Usual deportation procedure of any foreigner will apply as per already existing acts. The Act doesn't apply for any Indian. pic.twitter.com/lahprtkpmk
— ANI (@ANI) December 17, 2019
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আবারও বলছি কোন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের নাগরিকতা ছিনিয়ে নেওয়া হবেনা। এই আইনে কারোর নাগরিকতা ছিনিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়নি।” অমিত শাহ আরও বলেন, ‘আমি কংগ্রেস পার্টিকে বলতে চাই যে, নেহরু – লিয়াকত চুক্তির অংশ এই আইন। কিন্তু বিগত ৭০ বছর ধরে এই আইন লাগু করা হয়নি, কারণ আপনারা ভোট ব্যাংক শক্ত করতে চাইছিলেন। আমাদের সরকার এই চুক্তিকে লাগু করেছে, আর লক্ষ লক্ষ মানুষকে নাগরিকতা দেবে।”
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয়ের সুত্র থেকে জানানো হয় যে, নাগরিকতা সংশোধন আইন কোন বিদেশীকে বাইরে পাঠাবে না। কোন বিদেশীকে দেশের বাইরে পাঠানোর জন্য এর আগের প্রক্রিয়া গুলোকেই ব্যাবহার করা হবে। এই আইন কোন ভারতীয়র বিরুদ্ধে লাগু হবেনা। সে মুসলিম হোক আর অন্য কোন জাতির। মানব সংশাধন মন্ত্রালয়ের সুত্র থেকে জানা যায় যে, ১৫ই ডিসেম্বর জামিয়াতে হওয়া হিংসার রিপোর্ট পেয়েছে তাঁরা। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকারী সমিতিতে প্রস্তাব পাশ হয়েছে, যাতে ন্যায় বিচারের দাবি করা হয়েছে। যদিও আমাদের এখনো পর্যন্ত কোন অফিসিয়ালি অর্ডার দেওয়া হয়নি।