বাংলা হান্ট ডেস্ক : মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকে এখনও অবধি সে রাজ্যে সরকার গঠন না হয় অবশেষে রাষ্ট্রপতি শাসন লাগু হয়েছে গত মঙ্গলবার। বিধানসভায় ছেলেকে মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে চেয়ে আদিত্য ঠাকরে কয়েক দশকের পুরনো দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে কিন্তু আদিত্য ঠাকরেকে মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে নারাজ কংগ্রেস তা এক প্রকার নিশ্চিত। ইতিমধ্যেই বিজেপি শিবসেনার আর সমর্থন অগ্রাহ্য করেছে তাই অন্যান্য শরিক দলগুলির সমর্থন আদায় করে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করবে এমনটাই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন উদ্ভব ঠাকরে।
কিন্তু ইতিমধ্যেই শরদ পাওয়ারের দল এনসিপি এনডিএ জোট ছাড়লে তবেই সমর্থন করবে বলে জানিয়ে দিয়েছিল তবে এবার অন্য শর্ত দিলেও সনিয়া গাঁধীর দল। শুধু আদিত্য ঠাকরে নয় থাকলে পরিবারের কাউকেই মুখ্যমন্ত্রী করা যাবে না শিবসেনাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য তিন পাতার শর্ত তৈরি করে জানিয়ে দিল কংগ্রেস। অর্থাত্ কংগ্রেস ও এনসিপি অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি চাইছে। যদিও এনসিপি র শর্ত মেনে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শিবসেনার এক সাংসদ।
24 নভেম্বর তারিখে মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই এনডিএ জোট শিথিল হতে বসেছিল। যেহেতু শর্ত মেনে বিজেপি ও শিবসেনার জোটবদ্ধ হয়ে বিধানসভা নির্বাচনে লড়ছে তাই জোটের শর্ত অনুযায়ী অর্ধেক অর্ধেক মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবি জানায় শিবসেনা। আর তা মেনে না নেওয়ায় তিরিশ বছরের জোট ভেঙে গিয়েছে। তো চ্যালেঞ্জ প্রদর্শনের জন্য ইতিমধ্যে এনসিপি ও কংগ্রেসকে নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করতে উদ্যোগ নিয়েছে শিবসেনা।
যদিও কংগ্রেস ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্রে জোট সরকারের চারটি মন্ত্রক ও বিধানসভা অধ্যক্ষের পদ দাবি করেছে। তবে পুরোপুরি যে কংগ্রেস শিবসেনাকে সমর্থন করতে চাইছে এমনটা নয় তাই জোট বাঁধার আগেই কংগ্রেসের উচ্চপদস্থ নেতৃত্বদের কাছ থেকে এক প্রকার অনুমতি এবং আলোচনাও সারছেন সনিয়া গাঁধী।