বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কোচবিহারের শীতলকুচিতে ঘটে যাওয়া দুর্বিষহ ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ি করলেন বিরোধী দলনেতা তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান। শনিবার আবদুল মান্নান বলেন, দিন কয়েক ধরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করার পরামর্শ দিচ্ছেন। ওনার কারণেই আজ এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর একটি নির্দিষ্ট প্রটোকল থাকে, তাঁরাই সেই প্রটোকল অনুযায়ীই কাজ করে। তাঁদের থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে, তাঁদের ঘেরাও করে আক্রমণ করার চেষ্টা করলে তাঁরা পদক্ষেপ নেবেই।
আজ শীতলকুচির কাণ্ডের পর বনগাঁর একটি সভাথেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামীকাল মাথাভাঙায় যাবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি সেখানে গিয়ে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন। এই প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান শনিবার একটি প্রেস কনফারেন্সে বলেন, ‘মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করার অভ্যাস মমতার অনেক পুরনো। বর্তমান পরিস্থিতিতে মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করা মানে আগুনে ধি ঢালা। আশাকরি মমতা এই কাজ করা থেকে বিরত থাকবে।”
শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাস্তমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ চেয়েছেন। তিনি বলেছেন ওনার ষড়যন্ত্রের কারণেই এই কাজ হয়েছে। এই নিয়ে আবদুল মান্নান বলেন। ‘নিজের কাঁধ থেকে দোষ ঝাড়তে এই কথা বলছে মমতা। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এই কাজ করার জন্য উস্কানি দিয়েছেন।” আরেকদিকে, বিজেপিকেও একহাতে নিয়েছেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা আবদুল মান্নান।
আবদুল মান্নান বিজেপির প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিজেপি চাইছে তাঁদের পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে ভোট করাতে। আর মমতা চাইছে পুলিশের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রাখতে। দুধ দুজনেই খাচ্ছে। তৃণমূল চুমুক দিয়ে খাচ্ছে আর বিজেপি স্ট্র দিয়ে খাচ্ছে। সেই কারণে বিজেপিরটা দেখা যাচ্ছে না। তৃণমূল চুমুক দিয়ে খাচ্ছে বলে, তাঁদেরটা গোঁফে লেগে থাকছে।”