বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভারতের (India) চিরশত্রু পাকিস্তানের (Pakistan) প্রশংসায় পঞ্চমুখ কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ার (Mani Shankar shankar Aiyer)। সদ্যই লাহোরের এক অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠেন তিনি। মণিশঙ্কর আইয়ার বলেন, ‘ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সাহস আছে, কিন্তু আলোচনার নয়।’ তিনি পাকিস্তানকে ‘ভারতের সবচেয়ে বড় সম্পদ’ বলে উল্লেখ করেছেন। একই সাথে তিনি এও বলেন যে, পাকিস্তানের মত অন্য কোনও দেশ তাকে স্বাগত জানায়নি।
পাক মিডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, পাকিস্তানের সাথে আলোচনায় না বসাটা মোদী সরকারের ‘সবচেয়ে বড় ভুল’ বলে অভিহিত করেছেন মণিশঙ্কর। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস ও বিজেপি সরকারের আমলে ইসলামাবাদে পাঁচজন ভারতীয় হাইকমিশনার ছিলেন এবং পাঁচজনই বিশ্বাস করতেন যে পার্থক্য যাই হোক না কেন, আমাদের পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলা উচিত।’ কংগ্রেস নেতার পরামর্শ, ছাত্র এবং শিক্ষাবিদদের উভয় দেশের সরকারকে বাইপাস করে ভারত ও পাকিস্তানের বাইরে মিলিত হওয়া উচিত।
এখানেই থেমে থাকেননি মনিশঙ্কর। এইদিন তিনি আরও বলেন, ‘আপনার বিরুদ্ধে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করার ক্ষমতা আমাদের আছে, কিন্তু সভা করার ও কথা বলার সাহস আমাদের নেই।’ যদিও এই প্রথমবার নয় যে পাক ইস্যুতে আইয়ার প্রধানমন্ত্রীর প্রসঙ্গ টেনেছেন। গত বছরের অগাস্টেও তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদীর আগে প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রীই পাকিস্তানের সঙ্গে কিছু না কিছু কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু এখন তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন : কৃষক আন্দোলন ঘিরে ধুন্ধুমার, ‘এভাবে দেশ এগোবেনা’, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব মমতা
পাকিস্তানের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি বন্ধুত্বপূর্ণ হই তাহলে তাদের আচরণ হবে খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ এবং যদি আমরা শত্রুতাপূর্ণ হই তাহলে তাদের আচরণ হবে খুবই প্রতিকূল।’ উল্লেখ্য, মণিশঙ্কর আইয়ার এই সমস্ত মন্তব্য করেছেন গত শনিবার লাহোরের আলহামরায় ফয়েজ মহোৎসবের দ্বিতীয় দিনের অধিবেশনে।
আরও পড়ুন : এক মাস যেতে না যেতেই ফের অসুস্থ ফিরহাদ হাকিম, তড়িঘড়ি ভর্তি করা হল হাসপাতালে
পাক মাটিতে দাঁড়িয়ে আইয়ার মোদী সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ভারত পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির জন্য আলোচনার প্রয়োজন ছিল। তবে গত ১০ বছরে সেই সদিচ্ছা নাকি দেখা যায়নি উল্টে বিপরীত পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ভারতীয় সামরিক ঘাঁটিতে পাক হামলার পর থেকেই আরও জটিল হয়েছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক। যদিও দেশের সিংহভাগ মানুষই মোদী সরকারের ‘ইঁটের জবাব পাটকেল’ মনোভাবকেই সমর্থন জানিয়েছে।