বাংলা হান্ট ডেস্ক : মালদহের পর এবার বীরভূম। ফের একবার দূর্ঘটনার কবলে রাহুলের (Rahul Gandhi) কনভয়ে। বীরভূমের মুরারইয়ের রাজগ্রামের পথে ঘটেছে এই দুর্ঘটনা। প্রথমে পুলিশের তরফ থেকে যাত্রায় বাধা তারপরেই এমন দুর্ঘটনাকে খুব একটা ভালো চোখে দেখছেনা কংগ্রেস সমর্থকরা। এমনিই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার হাবেভাবে স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, বাংলায় তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট চাননা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আজ মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমে ছিল রাহুল গান্ধীর কর্মসূচী। এই মুহূর্তে কংগ্রেস নেতার কনভয়ে চলছে বীরভূমের ভেতর দিয়ে। সেখানেই মুরারইয়ের রাজগ্রামের কাছে কনভয়ে থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্সের সাথে ধাক্কা লাগে পুলিশের গাড়ির। ঘটনার পর অ্যাম্বুলেন্স চালককে রীতিমত মারধর করে পুলিশ। তারপর থেকেই বেশ ক্ষুব্ধ অধীর চৌধুরী।
কংগ্রেসকর্মীদের অভিযোগ, ধাক্কার পর অ্যাম্বুলেন্সের চালককে মারধর করা হয় এবং চারজনকে আটকেও রাখা হয়। ঘটনার পরপরই উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। শুরু হয় তর্কাতর্কি, রীতিমত ধস্তাধস্তির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় সেখানে। যদিও কংগ্রেসের দাবি, রাহুলের বাংলা সফরে প্রথম থেকেই বাধা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। দিনকয়েক আগে মালদহ ঢোকার সময়ও দেখা যায় রাহুলের গাড়ির কাঁচ ভাঙা।
বিষয়টা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী। উষ্মা প্রকাশ করে নাম না করেই শাসকদলকে নিশানা করেন তিনি। যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে ওঠে। কড়া প্রতিক্রিয়া দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, গাড়ির কাঁচ বাংলায় নয়, বিহার থেকে আসার পথেই ভেঙেছে রাহুল গান্ধীর গাড়ির কাঁচ। একইসাথে নীতীশ কুমারকেও আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি।
এই বিষয়ে পরে অবশ্য কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়, সমর্থকদের ভিড়ের চাপেই বিহারে গাড়ির কাচ ভেঙে গেছে। কোনও হামলা হয়নি। যা নিয়ে ফের শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একবার গোলমালে রাহুলের কনভয়। এবার পুলিশের গাড়িতে ধাক্কা মারার জেরে ছড়ালো চরম উত্তেজনা।