বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ক্যাপ্টন অমরিন্দর সিংকে পদ থেকে সরানোর পর থেকেই পাঞ্জাব কংগ্রেস চরম সংকটে ভুগছে। মঙ্গলবার নবজ্যোত সিং সিধু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি থেকে ইস্তফা দেন। আর ওনার ইস্তফার কিছু পরেই পাঞ্জাবের মন্ত্রী রাজিয়া সুলতানাও ইস্তফা দেন। এই বিষয়ে সিধুর সচিব তথা রাজিয়া সুলতানার স্বামী মোহম্মদ মুস্তফা ট্যুইট করে জানান। তিনি লেখেন, কংগ্রেস আর নেতৃত্বের স্বার্থে আমার স্ত্রীর তরফ থেকে নেওয়া সিদ্ধান্তে আমি গর্বিত।
রাজিয়া সুলতানা প্রথমবার ২০০২ সালে মালেরকোটলা বিধানসভা আসন থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। যদিও, ২০১২ সালে তিনি হারের সম্মুখীন হন। এরপর ২০১৭ সালে তিনি ওই বিধানসভা আসন থেকে আবারও নির্বাচিত হন। এরপর ওনাকে অমরিন্দর সিংয়ের সরকারের মন্ত্রী বানানো হয়। ক্যাপ্টেনের ইস্তফার পর চরণজিৎ সিংয়ের মন্ত্রীসভাতেও ওনাকে জায়গা দেওয়া হয়।
পাঞ্জাব কংগ্রেসে একদিনে পরপর নেতাদের ইস্তফার কারণে তুলকালাম কাণ্ড বেঁধে গিয়েছে। সূত্র থেকে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, এরকম হুলস্থূল কাণ্ড বাধার পর মুখ্যমন্ত্রী নিজের মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। অন্যদিকে, ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং আবার দিল্লি গিয়েছেন। পাঞ্জাবে এই ঘটনাক্রম নিয়ে রাজনীতির অলিন্দে নানান জল্পনা উঠেছে।
অন্যদিকে পাঞ্জাব কংগ্রেসের নেতা যোগিন্দর ধিংরা সিধুর প্রতি একতা প্রমাণ করতে পাঞ্জাব কংগ্রেসের মহাসচিব পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। সিধু আর মন্ত্রী রাজিয়া সুলতানা এবং যোগিন্দর ধিংরার ছাড়াও দলের কোষাধ্যক্ষ গুলজার ইন্দর চহলও নিজের পদ ছেড়েছেন।