বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় বহুমাস জেলবন্দি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বর্তমানে দিল্লির তিহাড় জেলে শারীরিক ও মানসিক কষ্টে দিন কাটছে তার। এরই মধ্যে গতকাল অনুব্রত মণ্ডলের প্রায় ১১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। আর সেদিনই কেষ্টর নিচুপট্টির বাড়ি থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে সভা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)।
গতকাল কং নেতার হাত ধরে কয়েকশো তৃণমূল কর্মী যোগ দিলেন কংগ্রেসে। প্রত্যেকের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে তাদের দলে স্বাগত জানান অধীর। তারই সাথে একাধিক ইস্যুতে তোপ দাগলেন অনুব্রত মণ্ডলকে। অনুব্রত গড়ে দাঁড়িয়েই সেখান থেকে কেষ্টকে আক্রমণ করে একাধিক মন্তব্য করলেন তিনি।
শুধু তাই নয়, এদিন বহরমপুরের সাংসদের মুখে শোনা গেল বিস্ফোরক সব মন্তব্য। বড় ‘ভবিষ্যদ্বাণী’, করে অধীর বলেন, জেল থেকে ফিরলে আর তৃণমূল করবেন না অনুব্রত। তিনি হয়তো বিজেপি করবেন। নেতা বলেন, ‘‘অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির কাছে সভা বাংলার মানুষকে বার্তা দিচ্ছে। এতদিন অসাধ্য মনে হত। আজ সম্ভব হয়েছে। এর থেকে বোঝা যায় পরিবর্তন আসছে।’’
আর কি কি বললেন তিনি? অধীর বলেন, ‘‘বাংলার ঐতিহ্য হারিয়েছি আমরা। এক দিন শান্তিনিকেতন, বোলপুরকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তৈরি শিক্ষা পীঠস্থান হিসাবে সবাই চিনত। আজ আমরা দেখছি কী?’’ গরু পাচার মামলায় বন্দি অনুব্রতকে কটাক্ষ করতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথের কবিতার পংক্তি উদ্ধৃত করে অধীর বলেন, ‘‘কেষ্ট বেটাই চোর।’’
তার কথায়, ‘‘অনুব্রতের যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেটা তো হাতির পেটে এলাচের দানা! আরও অনেক কেষ্ট বাজারে আছে। তাদের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে। আর যে সম্পত্তি (অনুব্রতের) বাজেয়াপ্ত হয়েছে, সেটা তো সকালের নাস্তা।’’
এরপর ভবিষ্যদ্বাণী করে তিনি বলেন, ‘‘অনুব্রত মণ্ডল আর তৃণমূল করবেন না। আমি বোলপুরে এসে বলে গেলাম। মিলিয়ে নেবেন আমার কথা। আগে অনুব্রত সবুজ পাঞ্জাবি পরতেন দিদিকে সন্তুষ্ট করার জন্য। এবার গেরুয়া পাঞ্জাবি পরবেন মোদীকে সন্তুষ্ট করার জন্য।’’
নেতার সংযোজন, ‘‘অনুব্রত বাংলার বুকে বিরল এক নেতা। কারণ, তিনি সাংসদ নন, বিধায়ক নন, মন্ত্রী নন, কিন্তু গোটা বীরভূম ছিল তার হাতে। ভারতের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে দ্বিতীয় বড় টাকার ফান্ড তৃণমূলের। বাংলাকে লুঠ করে এই টাকা কামানো হয়েছে।’’
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা