বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিহারে (Bihar) গোটা ৩০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর কংগ্রেস (Indian National Congress) সরকার বর্তমানে ধুকছে। ১৯৯০ সালে শেষ কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ডঃ জগন্নাথ মিশ্র। তাঁর সময়কাল শেষ হবার পর থেকে বিহারে কংগ্রেস দল আর তাদের জায়গা ফেরত পায়নি। সেই লড়াই এখনও জারি রয়েছে। একসময় বিহারের ক্ষমতায় থাকা লালু প্রসাদ যাদবও আরজেডি দলে নাম লিখিয়েছেন। তবে তিনি জেলে থাকায়, তাঁর ছেলে তেজস্ব যাদব বর্তমানে দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।
ক্ষমতা হারায় কংগ্রেস
বিহারে মণ্ডল ও কমণ্ডলের আন্দোলনের পরে, কংগ্রেস দল তার ক্ষমতা হারিয়েছে। মণ্ডলবাদীরা প্রকাশ্যে বর্ণের রাজনীতি শুরু করে এবং বিরোধীরা রামের নামে ধার্মের রাজনীতি শুরু করে। মাঝে সমস্যায় পরে কংগ্রেস। তারা এইভাবে রাজনীতি করতেও পারেনি আর দলে সদস্য সংখ্যা বাড়াতেও পারেনি। দলের পুরোনো সদস্যরা নিজেদের জায়গা ধরে রাখতে নতুনদের জন্য দলের দরজা বন্ধ করে দেয়।
২০১৫ সাল ছিল আশির্বাদ স্বরূপ
ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়া কংগ্রেস দল নিজেদের ক্ষমতা হারায়। বিগত ৩ বছরে এখনও কোন কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারেনি। ২০১০ সাল কংগ্রেসের কাছে শোচনীয় হলেও, ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচন ভগবানের আশির্বাদ রূপে ঝড়ে পড়ে কংগ্রেসের উপর।
সেবার আরজেডি এবং জেডিইউ একসাথে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি রূপে অংশগ্রহণ করেছিল। সেই সময় কংগ্রেস ৪০ টি আসনের জন্য লড়েছিল। কিন্তু তারা ২৭ টি আসনে জয়লাভ করে।
কংগ্রেস আরজেডির সাথে জোটবদ্ধ থাকবে এবং কংগ্রেস কেবল আরজেডি-র কৌশলে নির্বাচনী মাঠে অংশ নেবে। কংগ্রেস নেতা অবিনাশও আভাস দিয়েছেন, একসঙ্গে লড়াইয়ে নেমে মহাজোটে তেজস্বীকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচন করাই যেতে পারে। এতে কোন সমস্যা নেই।