বাংলাহান্ট ডেস্ক : শেষ কবে গান্ধী পরিবারের প্রভাবমুক্ত কংগ্রেসের (Congress) সভাপতি নির্বাচন হয়েছে তা মনে পরে না কংগ্রেসের সদস্যদেরই। অন্তত বিগত কয়েক দশকের ইতিহাসে তো হয়নি। এবারেও নির্বাচনের ঘন্টা বাজতেই আবারও শুরু হয়েছে বিতর্ক। ভোটার তালিকায় কোনও কারচুপি হতে পারে, এই আশঙ্কায় দলের সরকারি ওয়েবসাইটে সেই তালিকা প্রকাশের দাবিতে সরব হয়েছেন মণীশ তিওয়ারি, কার্তি চিদম্বরমদের মতো বিক্ষুব্ধরা নেতারা। তাঁরা বলছেন, কাদের ভোটে সভাপতি নির্বাচন হবে, সেটা না জানা থাকলে প্রার্থীরা ভোট চাইবেনই বা কার কাছে থেকে?
গান্ধী পরিবারের কোনও সদস্য এবার নির্বাচনে অংশ নেবেন না। সেটা পরিস্কার হয়ে যেতেই সম্ভাবনা দেখছেন জি-২৩ নেতারা। সরাসরি গান্ধী পরিবারের কেউ নির্বাচনে অংচ না নেওয়ার মানে হলো কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন উন্মুক্ত জন্যই। যে কেউ জিততে পারে এই নির্বাচনে। যদিও সেখানেই আশঙ্কা দেখছেন বিক্ষুব্ধ নেতারা। তবে জি-২৩ নেতারা মনে করছন, নিজেরা না নামলেও পিছন থেকে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতেই পারে গান্ধী পরিবার। সেক্ষেত্রে ভোটার তালিকায় কারচুপি হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে পুরোদমে। ভোটার তালিকা প্রকাশ্যে আনার দাবিতে যারা সরব হচ্ছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন আনন্দ শর্মা, কার্তি চিদম্বরম, শশী থারুর, মণীশ তিওয়ারির (Manish Tiwari) মতো নেতারা।
এই বিক্ষুব্ধদের মধ্যে মণীশ তিওয়ারি, শশী থারুরা (Shashi Tharoor) নির্বাচনী লড়াইতেও নামতে পারেন বলেই জানা যাচ্ছে। এদের আশঙ্কা ভোটার তালিকা না জানার ফলে প্রচারে পিছিয়ে পড়তে পারেন। নিয়ম অনুযায়ী, কংগ্রেস সভাপতি পদে প্রার্থী হতে গেলে অন্তত ১০ জন ভোটারের সমর্থন প্রয়োজন হয়। থারুররা ভয় পাচ্ছেন, যাদের সমর্থনে তাঁরা প্রার্থী হতে চাইছেন, তাঁরা যদি ভোটার তালিকায় না থাকেন তাহলে তাঁদের প্রার্থীপদই বাতিল হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া কারা কারা ভোটার তালিকায় আছে তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হলে পুরো প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ হয়ে যাবে।
নিয়ম অনুযায়ী সব প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সদস্য, এআইসিসি (AICC) সদস্য এবং শাখা সংগঠনের সদস্যরা মিলিয়ে মোট ৯ হাজার ভোটার এবার কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে ভোট দেবেন। তবে দলের নির্বাচন কমিটি জানিয়ে দিয়েছে, দলের নির্বাচনে এভাবে ভোটার তালিকা প্রকাশ্যে আনা যায় না। তবে কেউ প্রার্থী হতে চাইলে তিনি ব্যক্তিগতভাবে তালিকা সংগ্রহ করতেই পারেন।