বাংলা হান্ট ডেস্ক : সামনে উপনির্বাচন 3 জেলায়। একদিকে বিজেপির বিরোধিতা সুর কংগ্রেসের গলায় অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে বিজেপির সংগী শিবসেনার হিন্দুত্ববাদী সাথে হাত মেলানোর ইঙ্গিত!
আর এরপরই জলঘোলা হতে শুরু হয়েছে । সরকার গড়া নিয়ে কংগ্রেসের বিগত শতকের রাজনীতি আর বর্তমান রাজনীতির মধ্যে ফারাক এতটাই হয়ে গেছে যে তাদের কাছে এখন কোন ছুৎমার্গ নেই। তারা জোট এর ক্ষেত্রে সব দরজায় খোলা রাখে। পশ্চিমবঙ্গে সিপিএম মহারাষ্ট্রে শিবসেনা।
রাজনীতির জল প্রবাহমান উৎপত্তিস্থল থেকেই হোক তার উচ্চগতি মধ্যগতি নিম্নগতি যে কোন দিকে যাবে তা রাজনীতিতে পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদদের বলতে পারেনা। ঠিক যেমনি পরিস্থিতি হয়েছে মহারাষ্ট্র নির্বাচনের পর। এখানে বিজেপি শিবসেনা আর গলায় গলায় সম্পর্ক সেখানেই ধরে চীর। সম্পর্কের বাঁধন এতটাই আলগা হয়েছে যে শিবসেনা ও এখন নিজের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য আরো নড়েচড়ে বসেছে। সিট সংখ্যা বিজেপি এগিয়ে থাকলেও শিবসেনা আমির দাপটে আরো 50% দাবি করছে।
রাজ্যে সরকার গঠনের দায়িত্ব এখন অমিত শাহের হাতে৷ কিন্তু কংগ্রেস-এনসিপির প্রস্তাবের ফলে পরিস্থিতি আর আগের মতো নেই৷ শিবসেনাও দরাদরি করার মজবুত একটা জমি পেয়ে গিয়েছে৷ কংগ্রেসও মনে করছে, ছুঁৎমার্গ রেখে লাভ নেই৷ বিজেপির হাত থেকে মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্য কেড়ে নেওয়ার জন্য হিন্দুত্ববাদী শিবসেনার সঙ্গেও হাত মেলানো যায়৷ আর এখানেই অন্দরমহলে উঠছে প্রশ্ন যে ক্ষমতার জন্য কি নিজের নীতি ও বিসর্জন দিতে পারে?
সোনিয়া গান্ধীর দল শিবসেনাকে প্রস্তাব দিয়েছে, তারা যদি বিজেপির সঙ্গ ছাড়ে, তাহলে সরকার গড়তে তাদের সমর্থন করবে কংগ্রেস এবং এনসিপি। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন উদ্ধব বা আদিত্য ঠাকরে। এনসিপি-ও জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই প্রস্তাবে রাজি৷ আর এরপরই জলঘোলা হতে শুরু হয়েছে সরকার গড়া নিয়ে