বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইন্ডিয়া গেটে (India Gate) অমর জ্যোতি জওয়ানের জায়গায় স্থাপিত হল নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর (Netaji Subhas Chandra Bose) ২৮ ফুট লম্বা গ্রানাইট মূর্তি। ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাতটায় দিল্লিতে মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)।
এদিনের সভা থেকে কংগ্রেসকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন মোদি। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর নেতাজির ইতিহাসকে ভুলিয়ে দেওয়ার প্রচুর চেষ্টা হয়েছে। নেতাজির আদর্শকে সামনে রেখে চললে দেশ আজ অনেক এগিয়ে যেত।’ বিজেপি সরকারের প্রশংসায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিগত ৮ বছরে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যার মধ্যে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ছাপ রয়েছে। তিনিই ছিলেন অখণ্ড ভারতের পথিকৃত। তিনিই প্রথম আন্দামানে তেরঙ্গা উত্তোলন করেন। আমাদের সরকারই নেতাজি ও আজাদ হিন্দ ফৌজকে নিয়ে মিউজিয়াম তৈরি করেছে।’
নেতাজির মূর্তি উন্মোচনের মুহূর্তটিকে অত্যন্ত সম্মানের বলে মনে করেম নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘আজ বিদেশি ঔপনিবেশিকতার চিহ্ন রাজধানী থেকে চিরদিনের মতো মুছে গেল। দিল্লিতে পঞ্চম জর্জের মূর্তি সরিয়ে একদিকে বসল নেতাজির মূর্তি, অন্যদিকে, ব্রিটিশদের কিংসওয়ে-এর অস্তিত্ব মুছে এবার কর্তব্য পথ। নেতাজির মূর্তি বসানোর মাধ্যমে আমরা শক্তিশালী ভারতের জন্য একটি নতুন রাস্তা প্রতিষ্ঠা করেছি।’ মোদি বলেন, রাজপথ ছিল ব্রিটিশদের জন্য। তাদের কাছে পরাধীন ভারতবাসীরা ছিল দাস। এই দাসত্বের অস্তিত্ব মুছতেই রাজপথের নাম পরিবর্তন করা হল।
প্রসঙ্গত, সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে সাজানো হয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত রাস্তা। গোটা এলাকাই নতুন করে সবুজায়ন করা হয়েছে। বসানো হয়েছে নতুন আলো। খাবার, আইসক্রিমের জন্য ব্যবস্থা রাখা নতুন কিয়স্কেরও। গোটা এলাকাকেই একাধিক ব্লকে ভাঙা হয়েছে। ফোয়ারা থেকে ইন্ডিয়া গেটের আশপাশের খালগুলিরও সংস্কার করা হয়েছে। এই পথের ইতিহাস মনে করাতে একটি এক্সজিবিশনের আয়োজনও করা হয়।