বাংলা হান্ট ডেস্ক : গতকাল সম্পন্ন হয়েছে ভোট গ্রহণ। এরপর বুথ ফেরৎ সমীক্ষা যা বলছে তা বেশ চাঞ্চল্যকর। মেঘালয়ে (Meghalaya Election 2023) কোনও দলই একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাবে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। এই অবস্থায় রাস্তা একটাই – জোট সরকার। ২০১৮ সালেও জোট সরকারই মেঘালয়ের কুর্সি দখল করে। সেবার এনপিপির সঙ্গে জোট বেঁধে মেঘালয়ের ক্ষমতা দখল করে বিজেপি (BJP)।
কিন্তু ৫ বছর কাটার আগেই চিড় ধরেছে এনপিপি-বিজেপির সম্পর্কে। ২০২৩ এর নির্বাচনে এনপিপির পাল্টা প্রার্থী দেয় বিজেপিও। তাই ফলাফলের পর বিজেপির সঙ্গে জোটের যথেষ্ট কম বলেই দাবি করেছেন এনপিপি প্রধান তথা মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা।
তাহলে কার সঙ্গে জোট করবেন তিনি? এর উত্তর দিলেন কনরাড সাংমা নিজেই। তিনি বললেন, ‘আমরা জোটের সম্ভবনাই খুলে রাখব। যে কারুর সঙ্গেই আমরা জোট করতে পারি। আমরা খুশি যে গতবারের এবারে আমাদের আসন সংখ্যা বাড়তে চলেছে। সর্বোপরি আমরা চাইছি একটা স্থির সরকার। যে সরকার রাজ্যের জন্য সবচেয়ে ভালো।’
২০২৩ সালের বিধানসভা মোট ১৩টি রাজনৈতিক দল অংশ। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল এনপিপি, ইউডিপি, কংগ্রেস, বিজেপি, এআইটিসি। মোট ৩৭৫ জন প্রার্থী নির্বাচনের ময়দানে লড়াই করেছে। ৬০ টি আসনের সবকটিতেই প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস ও বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেস ৫৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার দল এনপিপি ৫৭ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। ইউডিপি দিয়েছ ৪৬টি আসনে প্রার্থী। এখন দেখার কার ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে।
মেঘালয়ে সরকার সরকার গড়তে গেলে দরকার মোট ৩১টি আসন। বুথ ফেরৎ সমীক্ষা বলছে ২৫এর উপর একক ভাবে আসন জেতার সম্ভাবনা প্রায় নেই। এনপিপি এক্সিট পোলে কিছুটা এগিয়ে থাকলেও বাকিরা তার ঘাড়ের উপর নিশ্বাস ফেলছে। চমকপ্রদ ফল করতে পারে তৃণমূলও। তবে কী হতে চলেছে তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের দিন পর্যন্ত।