১৯৩০ থেকেই মুসলিমদের জনসংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে, ওঁরা চায় বাকিরা ওদের দয়ায় থাকুকঃ ভাগবত

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত অসমের সফরে রয়েছেন। সেখানে তিনি একটি ‘বই প্রকাশনী” অনুষ্ঠানে অংশ নেন। বইটিতে সিএএ আর এনআরসি নিয়ে চলা তর্ক-বিতর্কের বিষয়ে লেখা হয়েছে। অনুষ্ঠানে সংঘ প্রধান বলেন, এই আইনের বিরোধী আর সমর্থক দুজনেরই আলাদা আলাদা মত রয়েছে। কিন্তু কাদের মত সমাজের জন্য উপকারি সেটা আমাদের দেখতে হবে। ভাগবত বলেন, আজকাল প্রতিটি জিনিষেই বিবাদ করা একটা ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে, কিন্তু সত্যকে ভয় পাওয়া উচিৎ নয় আমাদের।

মোহন ভাগবত ভারতের উদাহরণ দিয়ে বলেন, হাজার হাজার বছর ধরে বৈচিত্র, নানান মত আর সম্প্রদায়ের মানুষ যেভাবে এখানে থাকছে, সেটা আর কোনও দেশে দেখতে পারবেন না। তিনি বলেন, হিমালয় থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত আর কামরূপ থেকে কচ্ছ পর্যন্ত আলাদা আলাদা রাজ্য থাকার পরেও ভারতের মানুষ সব জায়গায় যেতে পারেন। তিনি বলেন, আমরা একে অপরের আত্মীয়, এই কারণেই আজকের দিনে আমরা গোটা বিশ্বের মধ্যে এক নম্বর নাগরিক।

ভাগবত বলেন, সিএএ আর এনআরসি-র উপর জোর করে সাম্প্রদায়িক জামা পরানো হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতিটি রাজ্যের নিজের ইতিহাস রয়েছে, আর সেগুলো একসঙ্গে করে আমরা সবাই এক হয়েছি। ভাগবত বলেন, ভারত বিরোধী ইতিহাসবীদেরাও এটা মানেন যে ৪ হাজার বছর ধরে আমাদের দেশ এভাবেই চলে আসছে। যদিও তাঁদের ধারণা অনেকটাই ভুল। কারণ আমাদের ইতিহাস আরও পুরনো।

ভাগবত বলেন, বিশ্বের কোনও ধর্ম বা ভাষা নিয়ে আমাদের আপত্তি নেই। উনি বলেন, ১৯৩০ সাল থেকেই পরিকল্পনা মাফিক মুসলিমদের সংখ্যা বাড়ানোর প্রচেষ্টা চলে আসছে, যাতে ওঁরা নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে দেশকে পাকিস্তান বানিয়ে দেয়। ভাগবত বলেন পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ, অসম, সিন্ধ সব জায়গায় এটাই চলছিল।

মোহন ভাগবত বলেন, ওদের এই প্রচেষ্টা সফলও হয়েছিল। কারণ ভারতের থেকে পাকিস্তান আলাদা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অসম আলাদা হয়নি, আর বাংলা এবং পাঞ্জাব অর্ধেক করে ভাগ হয়ে গিয়েছিল। ভাগবত বলেন, ওঁরা চাইছিল এই রাজ্যগুলির মধ্যে একটি করিডর বানাতে। কিন্তু সেটা হয়নি। তিনি বলেন, উদ্দেশ্য একটাই ছিল, সেটা হল জনসংখ্যা বাড়ানোর। আর এরজন্য আজও ওদের সাহায্য করা হয়। ভাগবত বলেন, ওদের উদ্দেশ্য এটাই ছিল যে ওঁরা যেখানে বাস করবে সেখানে ওদেরই আধিপত্য থাকবে আর বাকিরা ওদের দয়ায় থাকবে।

Avatar
Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর