বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মাত্র এক মাস আগেই কাজ শেষ হয়েছে বাঁধের আর কয়েকদিন পেরোতেই বাঁধের গায়ে হাত ঘসলেই নাকি বেরিয়ে আসছে বালি! এমনকি, বর্তমানে ফাটলও দেখা গিয়েছে! এমনই এক ভয়ংকর অভিযোগ তুললেন দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা এলাকার মানুষেরা। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে বাঁধটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
রামগঙ্গা ফেরিঘাট থেকে ভাবাতলা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার নদীবাঁধ এলাকায় কংক্রিট ঢালাই কার্যে প্রায় 5-6 কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। সেখানে ঠিকমতো কাজ করা তো দূরের কথা, এতোটাই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয় যে সামান্য বৃষ্টি এলেই সিমেন্ট উঠে যেতে দেখা গিয়েছে। এমনকি কোনরকম প্লাস্টার ব্যবহার করা হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের।
স্থানীয় এক মহিলার কথায়, “মনে হচ্ছে, যে কোন মুহূর্তে উড়ে যেতে পারে আমাদের বাড়ি। সিমেন্ট বেরিয়ে আসছে। আমরা নির্মাণের সময় বহুবার বলেছিলাম ঠিকভাবে কাজ করতে, কিন্তু কেউ কারোর কথা শোনেনি! এখন আমরা প্রচণ্ড সমস্যায় পড়ে রয়েছি। যেকোনো মুহূর্তে ঝড় এলে আমাদের বাড়িঘর ভেঙে যেতে পারে বলে মনে হচ্ছে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, তাদের কথায় কর্ণপাত করেনি কোনো শ্রমিক। সমগ্র এলাকায় একই দৃশ্য চোখে পড়েছে। কোথাও মাটি বসে গিয়েছে তো আবার কোনো স্থানে সিমেন্ট কম দেওয়ার কারণে বালি পর্যন্ত উঠে চলে এসেছে। আর এক স্থানীয়ের দাবি, “প্রতিবছরই আমাদের এই রকম হল হয়। কোটি কোটি টাকা খরচ করেও ফাঁকি দিয়ে কাজ করে যায় লোকেরা! এমনকি আমাদের ক্ষোভের মুখে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় কন্ট্রাক্টর সহ সকল শ্রমিকেরা।”
এই ঘটনায় শাসক দলকে বিঁধতে ছাড়েনি বিজেপি দল। মথুরাপুর বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সভাপতি প্রদ্যুৎ বৈদ্য বলেন, “ঢালাইয়ের কাজ চলাকালীন সবচেয়ে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। এই ঘটনা কেবলমাত্র তোলাবাজ সরকারের আমলেই হয়ে চলেছে! তাদের কাটমানির নেওয়ার লোভের কারণে এলাকাবাসীদের দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়েছে।”