বাংলা হান্ট ডেস্ক : এবার নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল ছাত্রনেতার (Medinipur Student Leader) বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের (East Medinipur) কাঁথি (Kanthi) এলাকায়। তবে তার চেয়েও অবাক করা বিষয় হল আদালতের রায়। জেনে অবাক হবেন যে, নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্তকে নয় উল্টে নির্যাতিতাকেই গ্রেফতারির পরোয়ানা জারি করল আদালত।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অভিযুক্ত ছাত্রনেতার নাম শুভদীপ গিরি (Subhadip Giri)। কাঁথি আদালতে পকসো (POCSO) আইনে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। কিছুদিন পুলিশ হেফাজতে থাকার পর তাকে শর্তসাপেক্ষে জামিনে ছাড়া দিয়েছিল উচ্চ ন্যায়ালয়। এরপর মামলা ওঠে কাঁথি আদালতে। আদালত সূত্রে খবর, মামলা চলাকালীন একাধিক সাক্ষ্যদানে হাজিরা দেননি যুবতী।
যদিও নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, তার মেয়ে অসুস্থ থাকার কারণে তার মেয়ে আদালতে হাজিরা দিতে পারেনি। এই বিষয়ে অসুস্থতার রিপোর্টও পেশ করেন তিনি। তবে রিপোর্টে সন্তুষ্ট হননি বিচারক। পরপর আটটি সাক্ষ্যদান এড়িয়ে যাওয়ার কারণে শনিবার কাঁথি আদালতের ফার্স্টট্রাক ফাস্ট কোর্টৈর (পকসো) বিচারক অজেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য যুবতীর গ্রেফতারির পরোয়ানা জারি করে।
আরও পড়ুন : মায়ের পর আরও এক কাছের মানুষকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ অরিজিৎ সিং, স্কুটি চেপেই গেলেন শ্মশানে
এদিকে শুভদীপের আইনজীবী আনন্দ দাস সওয়াল জবাবের সময় দাবি করেছেন, এই মামলা গোটাটাই সাজানো ঘটনা। মূলত রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির কারণেই এই মামলা সাজানো হয়েছে বলে দাবি তার। উল্লেখ্য, অভিযুক্ত শুভদীপ কাঁথির তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সুপ্রতিষ্ঠিত ছাত্র নেতা। ওদিকে নির্যাতিতার বাবা একজন বিজেপি নেতা। শুভদীপকে জব্দ করার জন্যই তিনি এই কাজ করেছেন বলে দাবী শুভদীপের আইনজীবীর।
আরও পড়ুন : ‘খেতে না পারলে আসবে না..’, চড়া দামের অভিযোগ উঠতেই মেজাজ হারাল নন্দিনী দিদি! নিন্দার ঝড় নেটপাড়ায়
এখানে বলে রাখা ভালো, এই মামলা দায়ের হয় গত ২০২৩ সালের ১০ জানুয়ারি। সেই সময় নির্যাতিতা নাবালিকা থাকলেও এখন তিনি সাবালিকা। তিনি মোট ৮টি সাক্ষ্যদানে অনুপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়। আর সেই কারণে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্যাতিতাকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কাঁথি মহিলা থানার আই কে। যদিও বিজেপি নেতা কনিষ্ক পণ্ডা এই বিষয়ে জানিয়েছেন, এর সাথে রাজনীতির দূর দূরান্ত কোনও সম্পর্ক নেই।