বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিহারে এবার সর্বসমক্ষেই বিবাদ জেডিইউ (JDU) এবং আরজেডির (RJD) মধ্যে। গালওয়ান শহিদের বাবার সঙ্গে বিহার পুলিসের দুর্ব্যবহারকে নিয়ে মনে মনে অসন্তুষ্ট ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার (Nitish Kumar)। বিহার (Bihar) বিধানসভায় এনিয়ে আলোচনাও হয়। এর পরই শিক্ষামন্ত্রী তথা আরজেডি বিধায়ক চন্দ্রশেখরকেও নিশানা করেন তিনি। চন্দ্রশেখরকে নিয়ে একেবারেই প্রসন্ন নন নীতিশ তা সকলেই জানে। সম্প্রতি নালান্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে রামচরিত মানস নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পর চন্দ্রশেখরের (Chandrasekhar) উপর আরও বেশি চটে যান মুখ্যমন্ত্রী।
জানা যাচ্ছে, ক্যাবিনেট মিটিংয়ে নীতিশ কুমার চন্দ্রশেখরের কাছে জানতে তিনি যেসব কথা বলেন তা ভেবে বলেন কিনা? বিহারের শিক্ষামন্ত্রীর স্পষ্ট জবাব ‘আমি যা বলি ঠিকই বলি।’ ঝামেলা আরও বাড়ে কিছুদিন পর। ৭ম পর্যায়ের শিক্ষক নিয়োগের নিয়মাবলি নিয়ে ক্যাবিনেটে মিটিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মিটিং শুরু হওয়ার আগেই সেই নিয়মাবলির খসড়া লিক হয়ে যায়। নীতিশ কুমার এতটাই চটে যান যে ওই মিটিং-এ শেষ পর্যন্ত তিনি হাজিরই হননি।
এদিন বিধানসভায় নীতিশ চন্দ্রশেখর এবং আর এক আরজেডি বিধায়ককে তুলোধোনা করেন নীতিশ কুমার। তিনি বলেন, ‘ক্যাবিনেট মিটিংয়ের কোনও বিষয় ততক্ষণ পর্যন্ত গোপনে রাখতে হয় যতক্ষণ না পর্যন্ত তা পাশ হচ্ছে।
এদিকে গত সোমবার নীতিশ কুমারের সমালোচনা করেন আরজেডির অপর এক বিধায়ক সুধাকের সিং। তিনি দাবি করেন ২০০৫ সালে নীতীশ কুমার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে রাজ্যটি পিছিয়ে গিয়েছে। নীতিশের সমালোচনা করেছেন আরজেডির রাজ্য সভাপতি জগদানাদ সিংয়ের ছেলে তথা রামগড়ের বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘২০০৫ সালে নীতিশ কুমার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিহার পিছিয়ে গিয়েছে। যত তাড়াতাড়ি আইনসভার সদস্যরা তাঁকে প্রতিস্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেবেন, ততই রাজ্যের জন্য মঙ্গল হবে।’
সুধাকর সিং আরও জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নীতিশ কুমারের পরিবর্তে দেশে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা ভাল হবে’। তিনি বলেন, ‘আমার ভোট সবসময় তেজস্বী যাদবের জন্যই থাকবে, যদিও নীতিশ কুমারের জায়গায় কে বসবেন তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমি দলের সদস্যদের উপর ছেড়ে দিচ্ছি।’ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেছেন এই অভিযোগ ওঠার পর আরজেডি বিধায়কের মন্তব্যে নতুন চর্চা শুরু হয়েছে। আর তার উপর শিক্ষামন্ত্রীকে কড়া আক্রমণ করেন নীতিশ কুমার। আরজেডি এবং জেডিইউ-এর জোট কতদিন থাকবে বিহারে তা নিয়ে সন্দিহান দেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।