বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার রাজ্যের পুলিশ সম্পর্কে চুড়ান্ত বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। পুলিশ রাখার চেয়ে কুকুর পোষা ভালো, এহেন দাবি করে কার্যতই বিতর্কের আগুনে ঘৃতাহুতি দিলেন তিনি। তাঁর এহেন মন্তব্যকে ঘিরে যে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি তা বলাই বাহুল্য।
বিগত ৩০ মার্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনার কোম্পানির পুকুর এলাকায় খুন হন এক সিপিএম কর্মী বিদ্যুৎ মণ্ডল। অভিযোগের তীর তৃণমূলের বিরুদ্ধে হলেও কীভাবে মৃত্যি হল, কেই না খুনি একমাসেরও বেশি সময় পেরোলেও জানা যায়নি কিছুই। এখনও অধরা অপরাধী। এই যুবনেতা বিদ্যুৎ মণ্ডলেরই খুনের ন্যায়বিচারের দাবিতে শনিবার জুলপিয়ার একটি সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সেখানেই এহেন বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি।
এই প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘পুলিসকে না রেখে কয়েকটা কুকুর পুষলে তো ভালো হত। পুলিসের কুকুর থাকে না ট্রেনিং দেওয়া, শুঁকে শুঁকে বলে দিতে পারবে, কোন দিকে অপরাধী গিয়েছে, ওই রকম কুকুর। তিনি আরও বলেন, ‘তাহলে তো আমাদের দাবি করতে হবে, কয়েকটি এসপিকে ছেড়ে দিয়ে কয়েকটি বিদেশি কুকুর এনে ট্রেনিং দিয়ে রেখে দিলে এই খুনের কিনারা হয়ে যাবে। কাজই যখন না করবে তখন কেন মাইনে নিয়ে রাখা হয়েছে’? উল্লেখ্য এদিনের এই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সিপিএমের একাধিক নেতা। মহম্মদ সেলিম ছাড়াও ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রাক্তন বিরোধী নেতা সুজন চক্রবর্তী। জেলা সম্পাদক শমিক লাহিড়ী সহ অন্যান্য নেতা নেত্রীরা।
শীর্ষ স্তরের বাম নেতার এহেন মন্তব্যকে যে মোটেই ভালো চোখে দেখেনি রাজ্য পুলিশ তা বলার আর নতুন করে প্রয়োজন পড়ে না। রাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিসের সব লোক অসৎ হয়ে যায়নি। তিনি যে চতুষ্পদ প্রাণীর নাম করলেন, সেরকম হয়ে যায়নি। ব্যতিক্রমী পুলিস অফিসারও আছেন।’ অন্যদিকে আবার রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিজির দাবি, ‘ভয়াবহ খারাপ কথা বলা হয়েছে রাজ্য পুলিশকে। যেকোনও পেশার লোকদের নিয়েই এধরনের মন্তব্য অনভিপ্রেত।’