বাংলাহান্ট ডেস্ক: সংখ্যালঘুদের প্রতি হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছিলেন বাংলাদেশের এনজিও কর্মী প্রিয়া সাহা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় রিয়া সাহা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের কথা বলছেন। প্রিয়া সাহা ডোনাল্ড ট্রাম্প কে বলেন সংখ্যালঘুদের উপর মৌলবাদীদের নির্যাতনে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা ক্রমেই কমছে।
সোশ্যাল মিডিয়ার প্রিয়ার বক্তব্য ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় হয়ে যায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রিয় সাহার বক্তব্যকে ‘দেশদ্রোহী’ বলে কঠোর শাস্তির দাবি করেন। বাংলাদেশের জনতা শনিবার প্রিয়া সাহার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান। দুই ব্যক্তির প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে আলাদা মামলা করে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনেন। এই মামলা পাওয়ার পরও বাংলাদেশের আইন মন্ত্রক মামলার তোড়জোড় করতে শুরু করেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার্তা পাঠান তার ব্যাখ্যা না শুনে যেন কোনো আইনি পদক্ষেপ না নেওয়া হয়। এ নির্দেশনা শোনার পর মামলা দুটি খারিজ হয়ে যায়।
প্রিয় শহর বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যাওয়ার পর অনেকেই তোর তীব্র নিন্দা করেন। আবার অনেকেই পাশেও এসে দাঁড়ান। বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন ২৫ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন বাংলাদেশের সামাজিক পটভূমিতে লেখা হয় তাঁর উপন্যাস ‘লজ্জা’ এর জন্য।
প্রিয়া সাহার সমর্থনে এগিয়ে এসে তসলিমা নাসরিন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “ট্রাম্পকে প্রিয়া সাহা যা বলেছেন,কমই বলেছেন। খুব মাপা সময়। ভয়াবহতা বর্ণনা করার সময় তাই পাননি।”
অন্যদিকে গণ আন্দোলন মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘প্রিয়া সাহার বক্তব্য ভুল প্রমাণিত করার জন্য তিনি দেশে ফেরার আগেই সকল সাম্প্রদায়িক দেশদ্রোহী কে কঠোর শাস্তি দিয়ে প্রমান করা হোক বাংলাদেশ বাস্তবেও একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ।’