বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলাদেশের BNP-র এক ইফতার পার্টিতে গোমাংস পরিবেশন করাকে ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ালো ঢাকায়। বৃহস্পতিবার সিলেট মহানগরের আমান উল্লাহ কনভেনশন সেন্টারে একটি ইফতার পার্টির আয়োজন করে সিলেট মহানগর বিএনপি। আর সেই ইফতার পার্টিতেই গোমাংস পরিবেশন করাকে ঘিরেই প্রবল চাঞ্চল্য ছড়ায়।
জানা গিয়েছে, এদিন ইফতার পার্টিতে খাবারে গোমাংশের ইয়াখনি, ছোলা, পিঁয়াজি, আলুর চপ এবং খেঁজুর পরিবেশন করা হয়। আর তাতেই বিপাকে পড়েন ইফতার পার্টিতে অংশ নেওয়া বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের অমুসলিম নেতাকর্মীরা।
এই ইফতার পার্টির পর এই বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মন্টু নাথ। ফেসবুকে একটি পোস্ট লিখে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘আপনারা ইফতার করলেন, আর আমরা হিন্দুরা হাঁ করে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেই গেলাম। সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির ইফতার পার্টুতে অমুসলিমদের জন্যে খাবারের ব্যবস্থাই ছিল না। আমরা রোজা রাখি না অথবা দিনের বেলা খেয়ে দেয়ে ঘর থেকে বার হই এই ভেবেই কি কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি? নাকি অন্য কোনও সমস্যা? সম্প্রীতির বাংলাদেশ, সম্প্রীতির রাজনীতির নতুন কোনও সংজ্ঞা আবিষ্কার হলে সেটা আমার জানা নেই। আমরা যেহেতু স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রাজনীতিতে বিশ্বাসী, সেহেতু আমরা ছিলাম, আছি, থাকব এতে কোনও সন্দেহ নেই। আমরা আপনাদের সঙ্গ ছাড়ছি না, আর আপনারা আমাদের জন্যে অন্য কোনও আয়োজন করতে পারছেন না। আমাদেরকেই আপনারা স্বেচ্ছাসেবকের কার্ড গলায় ঝুলিয়ে দ্বায়িত্ব দিতে পারতেন। তাতে অন্তত আমরা আমাদের পরিবার, পরিজন, সহযোদ্ধা ও জুনিয়রসহ অনেকের কাছে লজ্জা থেকে রেহাই পেতাম। আমরা বলতাম আমরা কাজের দায়িত্বে ছিলাম। হা করে তাকিয়ে থাকতাম না। তারাও ব্যাপারটি বুজে নিত।’
এই বিষয়টি সামনে আসার পরই ব্যাপক হইচই শুরু হয়ে যায়। ঘটনাটি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনাও চলে বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে। ব্যাপারটির প্রেক্ষিতে দুঃখ প্রকাশও করেছেন কেউ কেউ। সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিফাতাহ সিদ্দিকী জানান, ‘ ব্যাপারটির জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে আমরা অনেক ভুল করেছি। এ ধরনের ভুল সত্যিকার অর্থে অনাকাঙ্ক্ষিত।’