দমদম পার্কের ছায়া বিজেপির মন্ডপেও! প্যান্ডেলে প্রতীকী খড়ম থাকায় দানা বাঁধছে বিতর্ক

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থাকবেন না, তা আগে থাকতেই জানা গিয়েছিল। তবে শোনা গিয়েছিল ষষ্ঠীতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে পুজোর উদ্বোধন করবেন দলের সভাপতি জেপি নড্ডা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাও দেখা গেল না। এমনকি বিধাননগরের পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্রে আয়োজিত পুজোয় দেখা মিলিল না দিলীপ ঘোষেরও।

অবশেষে দেখা গেল ষষ্ঠীতে পুজো উদ্বোধন করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, রাহুল সিনহা, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা। যা নিয়ে আবারও জলঘোলা হতে শুরু করেছে বঙ্গ রাজনীতির অন্দরে।

vjbvbbj

গতবছর ধুমধাম করে পুজো করলেও, এবারে প্রথম থেকেই পুজোর বিপক্ষে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি তো সরাসরি প্রকাশ্যে বলেই বসেছিলেন, ‘পুজো করাটা কি আবার দলের কাজ নাকি?’ দিলীপ ঘোষের থেকে এমন মন্তব্য শোনার পর, বিজেপির সদ্য রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দারস্থ হন দলীয় কর্মীরা। তাঁর সম্মতিতেই শুরু হয় পুজোর জোগার।

সমস্ত প্রস্তুতি মত সুকান্তবাবু ও দলের অন্যান্যরা সোমবার সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালিয়ে পুজো উদ্বোধন করেন। থিম চৈতন্যদেব। গোটা মণ্ডপ জুড়ে চৈতন্যদেবের বিভিন্ন কাট আউট রাখার সঙ্গে সঙ্গেমঞ্চের নীচে এক জোড়া প্রতীকি খড়মও রাখা হয়েছে। এই বিষয়ে সুকান্তবাবু বলেন, ‘বাংলার সংস্কৃতিকে বাঁচাতে হবে চৈতন্যদেবের দেখানো পথ ধরেই’।

প্রসঙ্গত, দমদম পার্ক ভারতচক্রের এবারের থিম- তেভাগা আন্দোলন থেকে শুরু করে নীল বিদ্রোহ, সাঁওতাল বিদ্রোহ এবং বর্তমান সময়ের কৃষক আন্দোলন, সবকিছুই ফুটে উঠেছে তাঁদের মন্ডপ সজ্জায়। বাদ যায়নি উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে সাম্প্রতিক দুর্ঘটনাও।

দেশের চলতে থাকা বিভিন্ন সংগ্রামের চিত্র ফুটিয়ে তুলতে মন্ডপে ব্যবহার করা হয়েছে অসংখ্য চটি। কোথাও পড়ে আছে জীর্ণ ছেড়া চটি, আবার কোথাও প্যাণ্ডেলের দেওয়ালে সারিবদ্ধ ভাবে সাজানো রয়েছে চটি। আর এই বিষয়ই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। ঠিক তেমনই বিজেপি মন্ডপে থাকা জোড়া খড়ম নিয়েই বিতর্ক দানা বেঁধেছে।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর