বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জুন মাসের মাঝামাঝি হয়ে গেলেও বর্ষার দেখা নেই। দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে প্যাচপ্যাচে গরম। এই অবস্থায় নানান মহল থেকে স্কুল পড়ুয়াদের মর্নিং ক্লাস (Morning Class) শুরু করার দাবি উঠলেও এখনও অবধি তেমনটা হয়নি। উল্টে শুক্র ও শনিবার বাংলার সকল বিদ্যালয়ে (পার্বত্য এলাকা বাদে) পঠনপাঠন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)। তাতেই অসন্তুষ্ট অভিভাবক, শিক্ষকরা।
সরকারের (Government of West Bengal) সিদ্ধান্তে খুশি নন অভিভাবক, শিক্ষকরা
এই বছর রাজ্যের বিদ্যালয়গুলিতে এক মাসের বেশি গরমের ছুটি (Summer Vacation) ছিল। সেই ছুটি কাটিয়ে গত ২ জুন থেকে ফের ক্লাস শুরু হয়। তারপর কয়েকদিন ক্লাস হতে না হতেই তাপপ্রবাহের জেরে ফের দু’দিন স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তাতেই অসন্তুষ্ট শিক্ষক ও অভিভাবকদের একাংশ। তাঁদের প্রশ্ন, ছুটি দিয়েই কি সমস্যার সমাধান করা সম্ভব? এভাবে চলতে থাকলে পড়ুয়াদের সিলেবাস কবে শেষ হবে?
স্কুল শিক্ষক ও অভিভাবকদের একাংশের কথায়, এক মাসের বেশি সময় ধরে স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি ছিল। এখন যদি আবারও ছুটি দেওয়া হয় তাহলে পঠনপাঠন কবে শেষ হবে? এর চেয়ে মর্নিং ক্লাস বাস্তবসম্মত সমাধান হতে পারতো। শিক্ষক সংগঠনগুলির তরফ থেকে এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মহেশতলায় গণ্ডগোলের পরেই IC, SDPO পদে রদবদল! জারি করা হল বিজ্ঞপ্তি
সংগঠনের দাবি, অভিভাবকেরাও ছুটি চান না। তাদের অভিযোগ, এভাবে স্কুলে ছুটি দিয়ে সরকার জেনেবুঝেই শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করতে চাইছে। অন্যদিকে অভিভাবকরা বলছেন, সরকারি বিদ্যালয়ে ভরসা রাখা মুশকিল হয়ে পড়ছে। আগে গরমের সময় তিন মাস সকালে ক্লাস হতো। এখন শুধু ছুটিই দেওয়া হচ্ছে। এতে শিশুরা কিছুই শিখতে পারবে না।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, শুক্র ও শনিবার পার্বত্য এলাকা বাদে রাজ্যের সব স্কুলে পঠনপাঠন স্থগিত থাকবে। তবে স্কুল শিক্ষা দফতর পরবর্তীতে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, ক্লাস স্থগিত রাখা হলেও শিক্ষক-শিক্ষকাদের স্কুলে হাজির হতে হবে। সরকারের (Government of West Bengal) এই ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত খুশি নন শিক্ষক ও অভিভাবকদের একাংশ। এর পরিবর্তে মর্নিং স্কুলের পক্ষপাতী তাঁরা।