যারা পুলিশকে গুলি করছে তাদের চা খাওয়ানো হবে নাকি? দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হোক: দিলীপ ঘোষ

Published On:

শনিবার থেকে অশান্তির কারনে উত্তপ্ত দিল্লি। উগ্রবাদী CAA বিরোধী কট্টরপন্থীদের রোষ থেকে বাদ যাচ্ছে না কেউই। এই অশান্তির আগুন কিভাবে কমানো সম্ভব হবে তাও এখন বলা মুশকিল। পরিস্থিতি যে দিকে আস্তে আস্তে এগোচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে যে অশান্তির আচ আস্তে আস্তে অন্য রাজ্যগুলিতেও ছড়িয়ে পরতে পারে। কিন্তু এই নিয়ে ইতিমধ্যে ততপরতা দেখিয়েছে দিল্লি প্রশাসন। CAA বিরোধীদের মূলত টার্গেট হয়ে উঠেছে পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনী।

বাদ দেওয়া হয়নি সাংবাদিকদেরও।  ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ‌্যা ২০ আর আহত প্রায় দেড়শোর উপর। যার মধ্যে ৫৬ জন (আহত) হলেন পুলিশকর্মী।  রাজ্যবাসীর কাছে আইশৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি অরবিন্দ কেজরিবাল তিনিও কড়া হাতে এই ব্যবস্থা নিতে ততপর হয়েছেন।  বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় বাড়ানো হ্যেছে নিরাপত্তা।  এসবের মধ্যে বিজেপির সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ দিল্লি নিয়ে বড়ো মন্তব্য করেছেন।

সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলে  “যারা পুলিশকে পাথর মারছে, তাঁদের সঙ্গে আরও কড়া আচরণ করা উচিত।” আর এতেই বাধে বিতর্ক। এখানেই শেষ নয় পাশাপাশি জামিয়া প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “জামিয়ায় পুলিশ ঢুকে দশজনকে গ্রেপ্তার করেছিল, তারা কেউ ছাত্র ছিল না। অথচ গোটা দেশে তুলকালাম হয়ে গেল। আর আজকে যখন তারাই আগুন জ্বালাচ্ছেন, তখন বিরোধী নেতারা দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছেন! কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে প্রশাসনকে।”রবিবার সকালে হাওড়ার গুলমোহর ময়দানে আবার এক বার তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমন করে ।

এই নিয়ে একাধিকবার তিনি মমতা বন্দ্যোপাদ্ধায়কে বাক্যবানে শানিয়েছেন।এদিন তিনি বলেন  “মুখ্যমন্ত্রীর সত্যিই উন্নয়ন করতে চাইলে টাকা চাইতে কেন্দ্রের ডাকা বৈঠকগুলোয় যোগ দিতেন। সেখানে নিজের দাবিদাওয়া জানাতে পারতেন। তা না করে তিনি চিঠি দিচ্ছেন। বোঝানোর চেষ্টা করছেন, তিনি কত উন্নয়ন করতে চান।আসলে দিল্লির বৈঠকে গেলে হিসাব দিতে হয়। কেন্দ্রীয় সরকার যে টাকা পাঠিয়েছে তা ঠিকমতো খরচ হয়েছে কি না তার খতিয়ান তুলে ধরতে হয়। কিন্তু কেন্দ্রের পাঠানো অধিকাংশ টাকাই পুরোটা খরচ করতে পারে না রাজ্য। তাই দিল্লির বৈঠকে যোগ দিতে চান না মুখ্যমন্ত্রী” ।

সম্পর্কিত খবর

X