বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সময় আর কিছুক্ষনের! রাত পোহালেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote)। বর্তমানে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিও প্রায় শেষ। এই পরিস্থিতিতে দলকে অস্বস্তি দিয়ে ফের বেফাঁস বলাগড়ের তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী (MLA Manoranjan Byapari)। গ্রাম বাংলার ভোটের আগেরদিন যখন ঘাম ছুটছে সমস্ত রাজনৈতিক দলের ঠিক সেই সময় নিজের দলকে নিশানা করেই ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্ট করলেন তিনি। আর সেই নিয়ে জোর চৰ্চা সর্বত্র।
ঠিক কী লিখলেন বিধায়ক? নিজের ফেসবুকে তিনি লেখেন, ” কী করব কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। এত চোর এত ধান্দাবাজ যে একটা দলে থাকতে পারে আমার জানা ছিল না। জানা ছিল না সেই চোর ধান্দাবাজগুলো বড় বড় নেতাদের এত প্রিয়।”
বিধায়ক আরও লেখেন, “তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া,আবার ভোটের পরে বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফেরা এক নেতা বলাগড়ে এসে প্রেস মিটিং করে গেলেন। আমি বলাগড়ের জনগনের ভোটে নির্বাচিত বিধায়ক। আমাকে তিনি একটা খবর দেওয়ার প্রয়োজন আছে সেটাও মনে করলেন না। কারা তাকে ঘিরে বসেছিল বলাগড়ের মানুষ দেখেছেন। তাদের সবাই চেনেন তাই আমি কিছু বলতে চাই না।”
বিস্ফোরক মন্তব্য করে মনোরঞ্জনবাবু বলেন, “সব ভোটের বাক্স খুললে বোঝা যাবে। সব জবাব মানুষ ভোটের বাক্সে দেবেন।” নির্বাচিত প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যায় নিয়েও সেই ফেসবুকেই বেফাঁস বিধায়ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “বলাগর বাসী তৃনমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশ নেওয়া গ্রাম সভার সমস্ত প্রার্থী আপনাদের জানাই, যে সাড়ে ছটি অঞ্চলের প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যায় বাবদ দল দু হাজার করে টাকা দিয়ে ছিল আজ বেলা আড়াইটার মধ্যে সবার সব টাকা আমি বিতরন করে দিয়েছি। আর এক জনের টাকাও আমার কাছে নেই।”
বিধায়কের কথায়, “বাকি সাড়ে ছয়টি অঞ্চলের টাকা নবীন গাঙ্গুলীর কাছে আছে। সে দিলেও ভালো না দিলেও ভালো। ও নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। কারো কিছু বলার থাকলে জেলা সভাপতিকে জানান।” পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগের দিন দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে এসব মন্তব্য, ক্ষোভ-অভিমান এবার ভোট বাক্সে কিরূপ প্রভাব ফেলে সেই দিকেই নজর সকলের।