বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) দলের নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং তাকে কেন্দ্র করে শুরু থেকে খোশ মেজাজেই ছিলেন জেলার তৃণমূল সভাপতি। কিন্তু হঠাৎ একটি ফোন কলে ঘটে গেল মোহভঙ্গ! এক মুহূর্তের মধ্যে জেলার সভাপতি পদ হারিয়ে বর্তমানে কেবল এক ‘সাধারণ’ তৃণমূল নেতা তিনি। পরবর্তীতে বহু যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি তৃণমূল নেতাকে। এমনকি, কোনরকম মন্তব্য করতেও রাজি নন কোচবিহার (Cooch behar) জেলার প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি।
আগস্ট মাসের প্রথম দিনেই বড়সড় ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। বাংলায় মোট সাতটি নতুন জেলা ঘোষণা করার পাশাপাশি একাধিক জেলায় সাংগঠনিক পদে বিরাট পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেই সূত্রে এদিন কোচবিহারের জেলা সভাপতি পদে নতুন মুখ হিসেবে আনা হয়েছে অভিজিৎ দে ভৌমিককে। দায়িত্ব পেয়ে এদিন অভিজিৎবাবু জানান, “সিনিয়র এবং জুনিয়র সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করতে চাই।” তবে অপরদিকে, নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধনের দিন যে নিজের সভাপতিত্ব পদ হারাতে চলেছেন, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি পার্থ প্রতিম রায়।
সূত্রের খবর, এদিন আচমকাই বএকটি ফোন কল আসার পর অফিস থেকে বের হয়ে যান পার্থ প্রতিমবাবু। তবে সেই ফোনটি কার, সে বিষয়ে কোন স্পষ্ট ধারণা মেলেনি।
উল্লেখ্য, কোচবিহার জেলায় বিগত বেশ কয়েক সময় ধরে গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ উঠতে থাকে। এর পরেই জেলার সভাপতি পদে নিযুক্ত করা হয় পার্থ প্রতিম রায়কে। তবে পরবর্তীতে সমস্যার সমাধান হয়নি বলেই দলীয় সূত্রে খবর। ফলে এদিন তাঁর জায়গায় অভিজিৎ দে ভৌমিককে সভাপতি পদে নিযুক্ত করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, অনেকদিন ধরেই কোচবিহার তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়, যার উদ্বোধন অনুষ্ঠান ছিল এদিন। সেইমতো নতুন কার্যালয় উদ্বোধনও করেন পার্থ প্রতিম রায়। তবে এর পরেই ঘটে যায় অঘটন। এক্ষেত্রে সভাপতির পদ হারানোর পর পার্থ প্রতিমবাবুর পরবর্তী পদক্ষেপ কি হতে চলেছে, সে বিষয়কে কেন্দ্র করেই বর্তমানে সৃষ্টি হয়েছে বিস্তর জল্পনা।