বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত কয়েক বছরে ব্যাপকভাবে বদল এসেছে বাঙালির দুর্গা পুজোর পটভূমিতে। শহর থেকে মফস্বল, সর্বত্রই এখন থিম পুজোর রমরমা। তবে ২০২৪ সালেও বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে এমন কিছু বনেদি বাড়ির পুজো রয়েছে যেগুলি আর পাঁচটা পুজোর (Durgapuja) থেকে অনেকটাই আলাদা। সেসব পুজোর জৌলুসে কমতি থাকলেও, আজও প্রাচীন রীতিনীতি মেনে পূজিত হন দেবী দুর্গা।
দেবী বাড়ির দুর্গাপুজো (Durgapuja)
কোচবিহার (Coochbehar) রাজবাড়ির খুব কাছেই রয়েছে দেবীবাড়ি। কোচবিহারের রাজা নর নারায়ণের আমলে প্রায় ৫০০ বছর আগে দেবীবাড়িতে শুরু হয় দুর্গা পুজো (Durgapuja)। দেবীবাড়িতে দেবী দুর্গা পূজিত হন বড়দেবী রূপে। প্রচলিত দেবী দুর্গার থেকে অনেকটাই আলাদা বড়দেবী। দেবী দুর্গার সাথে অবশ্য দেবীবাড়িতে আসেন না লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ ও কার্তিক।
আরোও পড়ুন : কুমারী পুজোর সাথেই রয়েছে মা দুর্গার বিশেষ সম্পর্ক! জানেন এই রীতির সূচনা কীভাবে হয়েছিল ?
বড়দেবীর সাথে এখানে পূজিত হয় জয়া এবং বিজয়ার মূর্তি। সিংহের বদলে বড়দেবীর বাহন হিসেবে থাকে বাঘ। দেবীবাড়ির পুজোতেও থাকে বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এই বাড়ির প্রতিমা তৈরি করা হয় ময়না গাছের কাঠের উপর। মহিষ বলি দেওয়া হয়ে থাকে অষ্টমী তিথিতে। জানলে অবাক হবেন, এই বাড়ির পুজোয় প্রায়োজন হয় নররক্তও! ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এই পুজোর দরজা খোলা থাকে সবার জন্য।
রাজপুরোহিত হরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যর কথায়, “এখনও বড়দেবীর পুজোয় নররক্ত দেওয়ার প্রথা রয়েছে। অষ্টমীর রাতে গুপ্ত পুজো হয়। সেখানেই মানুষের রক্ত দেওয়া হয়। আগে কচ্ছপ বলির প্রচলন ছিল, এখন তার বদলে মাগুর মাছ বলি দেওয়া হয়।’’ যদিও কর্তৃপক্ষর তরফে ভোগের ব্যবস্থা নেই এখানে। ভক্তরা প্রসাদ কিনে পুজো দিতে পারেন। সেই প্রসাদ পুজোর (Durgapuja) পর পেতে পারেন ভক্তরা।