বাংলা হান্ট ডেস্ক : অন্তিম পর্বে ভারত জোড়ো যাত্রা (Bharat Jodo Yatra)। পায়ে হেঁটে ৩৫০০ কিমি পথ শেষ করলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। আর তারপরই দেশবাসীর উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি লিখলেন রাহুল। সেই চিঠিতে রাহুল গান্ধী জানান, ‘পার্লামেন্ট থেকে রাস্তা পর্যন্ত আমি লড়াই চালিয়ে যাব। এই ভারত জোড়ো যাত্রা আমায় শিখিয়েছে সমাজের দুর্বলতর শ্রেণির জন্য ঢাল হিসাবে থাকতে হবে।’
কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি চিঠিতে লেখেন, ‘আমার রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত জীবনের একটাই লক্ষ্য হবে গরিবদের জন্য আমি ঢাল হিসাবে হাজির থাকব। যাদের গলার স্বরকে দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে তাদের হয়ে আমি সরব হব। তিনি আরও লিখেন, ‘ভারতবাসী, ৩৫০০ কিমি পথ পেরিয়ে ভারত জোড়ো যাত্রা শেষ করার পরে আমি এই চিঠি লিখছি। কন্যাকুমাররী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ ভারতীয় আমার সঙ্গে পা মিয়িয়েছেন। এটা আমার জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যাত্রা ছিল। যে ভালোবাসা আমি পেয়েছি তাতে আমি অভিভূত। গোটা যাত্রা জুড়ে আপনাদের সমস্ত কাহিনি আমি শুনেছি। অর্থনৈতিক দুরবস্থা, যুবকদের মধ্যে বেকারত্ব, দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি, দেশের সম্পদের উপর কর্পোরেটের খবরদারি সবটাই নিজের চোখে দেখেছি।’
রাহুল গান্ধী লিখেন, ‘মানুষ কাজ হারানোর আশঙ্কায় ভুগছেন। তাদের আয় কমে যাচ্ছে। তাদের চোখে নতুন ভবিষ্যতের আশা হারিয়ে যাচ্ছে। গোটা দেশজুড়ে চরম আশাহীনতা। আমাদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। যখন মানুষ অসুরক্ষিত ও আতঙ্কিত অবস্থায় থাকে তখনই তারা একে অপরের বিরুদ্ধে ঘৃণার বীজ বপন করে। এই যাত্রার পরে আমি বুঝতে পারছি এটা একটা পাপচক্র।
প্রসঙ্গত, আগামী ৩০ জানুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরে শেষ হবে ভারত জোড়ো যাত্রা। এর আগে চিঠিতে রাহুল লিখেছিলেন, ‘আমি পার্লামেন্ট থেকে রাস্তা সর্বত্র লড়াই জারি রাখব। এই পাপকে মুক্ত করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনতে পারব সকলের জন্য, এনিয়ে আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। কৃষকের ফসলের ন্যায্য দাম, যুবকদের হাতে কাজ, দেশের সম্পদের বন্টন, শিল্পোদ্যোগীদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ, সস্তার ডিজেল, শক্তিশালী মুদ্রা ব্যবস্থা, ৫০০ টাকায় গ্যাস সিলিন্ডার হবে।’