বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) বিষয়ে প্রথমদিকে কেন্দ্র এবং বাংলা (West bengal) মিলিত ভাবে কাজ করলেও, বর্তমানে রাজ্য বিভিন্ন কারণে কেন্দ্রের বিরুদ্ধাচারণ করছে বলে অভিযোগ উঠছে। মঙ্গলবার কেন্দ্রের প্রতিনিধি দলকে বাংলায় পর্যবেক্ষণ করতে না দেওয়ার কারণে কেন্দ্র থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে চিঠি পাঠানো হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ‘রাজ্য সরকারের উচিত কেন্দ্রীয় দলগুলিকে কলকাতার বিভিন্ন লোকেশনে কাজ করতে অনুমতি দেওয়া। এখন রাজনীতি করার সময় নয়। আমরা মধ্য প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান এবং পশ্চিমবঙ্গে দল পাঠিয়েছি। কিন্তু এই দলগুলিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিভিন্ন স্থানে গিয়ে স্থল পরিস্থিতি মূল্যায়ন করার অনুমতি দিচ্ছে না। আমরা রাজ্য সরকারকে একটি চিঠি লিখেছি যাতে তারা দুর্যোগ আইন গ্রহণ করতে এবং আমাদের কাজ করার অনুমতি দিতে বলে’। কিন্তু এই ঘটনার পর যখন কেন্দ্র থেকে প্রতিনিধির দল রাজ্যে এল, তখন তাঁদের লকডাউনের দোহাই দিয়ে রাজ্যে পর্যবেক্ষণে বাঁধা দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিএসএফ ক্যাম্প থেকে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য অপূর্ব চন্দ্র জানিয়েছিলেন, ‘অন্যান্য রাজ্যেও কেন্দ্রের টিম করোনা পরিস্থিতি দেখতে যাছে। তাহলে বাংলায় কেন তাঁদের বাঁধা দেওয়া হচ্ছে? রাজ্য সরকারের বাধায় আমরা কোথাও যেতে পারছি না। নবান্নে বৈঠকের পর আমরা কোথাও যেতে পারিনি। রাজ্য সরকার জানাচ্ছে লকডাউনে কোথাও বেরনো যাবে না’।
এই ঘটনার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে এক চিঠি পাঠান। এই চিঠিতে নির্দেশ দেওয়া ছিল, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের ৩৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী- কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকার যেকোনো রাজ্যে পরিদর্শনের জন্য যেতে পারে। এবং এটি সুপ্রিম কোর্ট দ্বারা অনুমোদিত। তাই রাজ্যের উচিত কেন্দ্র থেকে আসা পর্যবেক্ষক দলের সহযোগিতা করা।