‘সাধাসিধে’ ভুবন আসলে ঠক, অত্যন্ত লোভী! বাদাম কাকুর বিরুদ্ধেই এবার গুরুতর অভিযোগ

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভুবন বাদ্যকর। নামটাই যথেষ্ট! ‘কাঁচা বাদাম’ গানের দৌলতে আজ গোটা ভারতে পরিচিত মুখ ভুবন বাদ্যকর। বড় বড় সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, ভুবনের ‘কাঁচা বাদাম’ গানে কোমর দুলিয়েছিলেন অনেকেই। যে গানের দৌলতে আজ সবার কাছে পরিচিত তিনি, সেই গানের জন্যই এখন ভুবনের বিরুদ্ধে উঠছে প্রতারণার অভিযোগ।

আর সেই প্রতারণার অভিযোগ করছেন স্বয়ং গোপাল ঘোষ অর্থাৎ গোধূলিবেলা মিউজিক সংস্থার কর্ণধার। বলা বাহুল্য, ২০২১ সালে ভুবন বাদ্যকর তাঁর ‘কাঁচা বাদাম’ গানটির স্বত্ব বিক্রি করেন এই গোপাল ঘোষকেই। তবে গোপাল ঘোষের অভিযোগ তারপরেও আইন বিরুদ্ধ ভাবে ভুবন বাদ্যকর ‘কাঁচা বাদাম’ গানটির স্বত্ব বিক্রি করেছেন একাধিক সংস্থাকে।

আরোও পড়ুন : গঙ্গার নিচে মেট্রোয় এবার নয়া চমক! মিলবে এই দুর্দান্ত সুবিধাটি, উপকৃত হবেন যাত্রীরা

এই প্রসঙ্গে বলা যায়, গলায় গামছা, পরনে সাদামাটা জামা, উস্কো খুসকো চুল, সমাজমাধ্যমে এমনটাই ছিল ভুবন বাদ্যকরের পরিচিতি। যদিও পরবর্তীকালে ভুবন বাদ্যকরের জীবন বদলে যায় ‘কাঁচা বাদাম’ গানের দৌলতে। তবে অনেকেই বলছেন, লাইফ স্টাইল বদলানোর সাথে সাথে, বদলে গেছে ভুবন বাবুর মানসিকতা।

bhuban badyakar 2

গোপাল ঘোষের অভিযোগ, ভুবন বাবু মোটেও সাদাসিধা মানুষ নন। ওনার রয়েছে প্রচন্ড পরিমাণ অর্থের লোভ। গোপাল বাবুদের পক্ষ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা সাহায্য করা হয়েছিল ভুবন বাবুকে। শুধু আর্থিকভাবে সাহায্য নয়, এর পাশাপাশি রাজ্যের বাইরেও তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং গান গাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল।

আরোও পড়ুন : পার্থ, মানিক চুনোপুটি! ২০০ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ১০০টি সংস্থা, নিয়োগ দুর্নীতিতে বড় নাম সামনে আনল ED

যেখান থেকে তিনি রোজগারের পাশাপাশি নামিদামি জিনিসপত্র উপহারস্বরূপ পেয়েছিলেন। কিন্তু তবুও অতিরিক্ত অর্থের লোভে ভুবন বাদ্যকর বিভিন্ন জায়গায় অপপ্রচার চালিয়েছেন গোপাল ঘোষের বিরুদ্ধে। ‘যে থালায় খাওয়া সেই থালায় থুতু ফেলার মতই ঘটনা’! ফলে, ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন গোপাল।

Social media users are going furious after kaccha badam singer bhuban badyakar got only three lakhs from music label1400 62120d0c72bf3

টাকার জন্য একাধিক সংস্থাকে নিয়মবহির্ভূতভাবে বিক্রি করেছেন গানের কপিরাইট। আর এই নিয়েই তৈরি হয়েছে যত দ্বন্দ্ব। আসলে তিনি এখন যে ট্রেড মার্ক দেখাচ্ছেন সেটি গানের সত্ত্ব নয়। অন্যদিকে ১৩ কোটি টাকা পাওয়ার বিষয়ে যে দাবি করা হচ্ছে তা প্রসঙ্গে গোপাল ঘোষ জানিয়েছেন, “যে টাকা দাবি করা হচ্ছে সেই ইনকাম কোনো দিনই হয় না। এটাও একটা মিথ্যা প্রচার।”

পাশাপাশি গোপাল ঘোষ দাবি করেছেন, “আমরা এই রকম বহু নামিদামি শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করে থাকি। কিন্তু ভুবন বাদ্যকর যেভাবে আমাদের বদনাম করে চলেছেন তা অন্য কেউ কোনদিন করেননি এবং কোথাও আমাদের এই রকম বদনাম নেই।” একই সঙ্গে তিনি আরো জানান, সব শিল্পীদের ক্ষেত্রেই একই নিয়ম প্রযোজ্য। বাদাম কাকুও তার ব্যতিক্রম নন।

এই অবস্থায় গোপাল ঘোষের বক্তব্য, এই ঘটনা সম্পূর্ণভাবে তিনি সাধারণ মানুষের উপর ছেড়ে দিতে চান। মাননীয় আদালত যা সিদ্ধান্ত নেবেন তা মাথা পেতে নেওয়া হবে। তবে ভুবন বাবুর এই রূপ আচরণ মোটেও কাম্য ছিল না। অর্থের জন্য মানুষ যে এতটা নিচে নামতে পারে তাও ছিল ধারণার বাইরে।

 

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর