বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অনুব্রত (Anubrata Mondal) জেল থেকে ফেরার পর প্রথম কোর কমিটির বৈঠক। আর সেই বৈঠকে দেখা গেল ঐক্যের ছবি। শনিবার বীরভূমে কোর কমিটির বৈঠক বসে। সেখানেই মুখোমুখি হন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ। এদিন লাভপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বৈঠকের যে ছবি সামনে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে কোর কমিটির ছয় সদস্যের মাঝে একেবারে মধ্যমনি হয়ে বসে রয়েছেন কেষ্ট। আর কেষ্টকে ঘিরে কোর কমিটির সদস্যরা (Birbhum Core Committee)।
কেষ্ট ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ, কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় জেলযাত্রার কারণে টানা প্রায় দু’বছর রাজনীতি থেকে দূরে থাকলেও জেলায় ফিরেই পুরোনো ফর্মে ফিরেছেন কেষ্ট। আর তারই সাথে কেষ্ট ফেরার পর থেকেই ফিরেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তনে এদিন ধরা পড়ল একেবারে ভিন্ন চিত্র।
এদিনের বৈঠক থেকে ঐক্যের বার্তাই শোনা গেল সকলের মাঝে। কোর কমিটির সদস্য ছাড়াও সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন প্রতিনিধিও। সূত্রের খবর, দল তরফে ঠিক হয়েছে, অনুব্রতর নেতৃত্বেই চলবে বীরভূমের কোর কমিটি। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অন্য কেউ নন, বীরভূমের দায়িত্ব থাকবে ফের সেই কেষ্টর হাতেই। আগামী ১৫ ডিসেম্বর বীরভূমে ফের কোর কমিটির বৈঠক হবে বলে জানা যাচ্ছে।
২০২৩ সালের অগস্ট মাসে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হন অনুব্রত। প্রায় দেড় বছর পর জামিনে মুক্ত হয়ে পুজোর আগে জেলায় ফিরেছেন কেষ্ট। তারপর থেকেই রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। কমিটির সঙ্গে কোনো সমন্বয় না রেখেই কেষ্টকে দেখা গিয়েছে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান করতে। যা নিয়ে চর্চাও হয় বিস্তর। কোর কমিটিকে বাদ দিয়ে কেষ্ট আলাদা করে দলীয় অনুষ্ঠান করার ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় কেষ্টকে ফোন করে সতর্কও করেছিলেন মমতা।
আরও পড়ুন: টাকার জন্য ব্ল্যাকমেল! সুইসাইড নোটে মহিলার নাম! তৃণমূল কাউন্সিলর মৃত্যুতে তোলপাড় করা মোড়
সূত্রের খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও কোর কমিটিকে স্থায়ী আর শক্তিশালী করার কথা বলেছিলেন। তবে শেষমেশ এদিন বৈঠক হতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, বীরভূমের কোর কমিটির দায়িত্ব থাকবে অনুব্রত মণ্ডলের হাতেই।