বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর পুজোর ঠিক আগে জেল থেকে ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। ২০২৩ সালের অগস্ট মাসে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হন অনুব্রত। প্রায় দেড় বছর পর জামিনে মুক্ত হয়ে জেলায় ফিরেছেন কেষ্ট। তারপর থেকেই রাজনৈতিকভাবে একেবারে সক্রিয় দাপুটে তৃণমূল নেতা। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছিল বীরভূমের সম্পূর্ণ দায়িত্ব কি অনুব্রতর হাতেই থাকবে? যদিও তা না করে তৃণমূলের কোর কমিটির (Birbhum Core Committee) চেয়ারপার্সন করা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে।
অনুব্রতর কাণ্ডে ফুসফাস শুরু-Anubrata Mondal
সব ঠিক থাকলে আগামী বছর শুরুতেই রয়েছে বিধানসভা ভোট। এখন থেকেই সেই নিয়ে শাসক শিবিরের প্রস্তুতি তুঙ্গে। বিরোধীদের মাত দিতে সাজানো হচ্ছে রণকৌশল। এই আবহে দীর্ঘদিন পর শনিবার বোলপুরের তৃণমূল কার্যালয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক ডাকা হয়। তবে সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না খোদ চেয়ারপার্সন অনুব্রত মণ্ডল।
দলের এত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ছেড়ে কোথায় গেলেন অনুব্রত? সূত্রের খবর, কোর কমিটির বৈঠক যখন চলছিল সেই সময় মহম্মদবাজারে একটি বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন অনুব্রত। কেবল কেষ্টই নয়, কেষ্ট ঘনিষ্ঠ বলে সুদীপ্ত ঘোষও যিনি কোর কমিটির সদস্য তিনিও নাকি এদিনের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন।
এদিকে জানা যাচ্ছে এদিনের বৈঠক ডেকেছিলেন খোদ অনুব্রত। আর তাতেই অনুপস্থিত তিনি নিজে। সূত্রের খবর, কিছুদিন আগে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রত মণ্ডলকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে সবাইকে একসাথে নিয়ে চলা হয়। তারপর দীর্ঘদিন পর এদিন কোর কমিটির বৈঠক থাকলেও নিজেই গেলেন না অনুব্রত।
আরও পড়ুন: ‘এই লোকটা সেদিন তথ্য লোপাটের জন্য…’ পানিহাটির চেয়ারম্যানকে নিয়ে বিরাট প্রশ্ন তিলোত্তমার মা-বাবার
বৈঠকে অনুব্রতর অনুপস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই চৰ্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এদিকে কেষ্টর অনুপস্থিতি নিয়ে কাজল শেখ বলেন, কে কী জন্য বৈঠকে উপস্থিতি ছিল না তা তার বিষয়। তিনি আরও বলেন, দেউচা পাঁচামি নিয়ে যে বৈঠক ডাকা হয়েছে তা কলকাতার বেলেঘাটায়। সেখানে আমাদের আইএএস পি বি সেলিম সাহেব, বীরভূমের এসপি, ডিএম রয়েছন। দেউাচা পাঁচামির জমিদাতারা কলকাতায় ওই বৈঠকে রয়েছেন। তবে সেখানে দলের কোনও বৈঠক আছে বলে জানা নেই।