বাংলা হান্ট ডেস্ক : করমণ্ডল বিপর্যয়ের (Coromandel Train Accident) তদন্তে এবার তল্লাশি অভিযানে সিবিআই। ওড়িশার (Odisha) সীমানা পেরিয়ে তল্লাশি রাজ্যের ২ জেলাতেও! গতরাতে ওড়িশার বিভিন্ন জায়গা, হুগলির ডানকুনি এবং পূর্ব মেদিনীপুরে অভিযান চলে। করমণ্ডল দুর্ঘটনায় সিবিআইয়ের (Central Bureau of Investigation) স্ক্যানারে রেলের কর্মীরা। সিবিআই সূত্রে খবর, ওড়িশার সোরো, কেন্দাপড়া, বাহানাগা বাজারে সিগন্যাল ও রিলে রুমের দায়িত্বে ছিলেন আমির খান।
আমির খান খড়গপুর ডিভিশনের সিগন্যাল বিভাগের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার । সোরো থানার করিমপুরে ভাড়া থাকতেন আমির। করমণ্ডল বিপর্যয়ের পর থেকেই তিনি পলাতক। তাঁর খোঁজেই গতকাল ডানকুনি ও পূর্ব মেদিনীপুরে অভিযান চালায় সিবিআই।
এদিকে, ফের ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident), চাকা ভেঙে বেলাইন মালগাড়ি (Goods Train)। মঙ্গলবার সাতসকালে খড়গপুর (Kharagpur) নিমপুরা আরামবাটির কাছে একটি মালগাড়ি লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রেলের আধিকারিকরা।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, লুপ লাইনে থাকা মালগাড়িটির পিছনের বগির চাকা খুলে বেরিয়ে গিয়েছে। ওই লাইনে কোন যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে না। ফলে রেলওয়ে ট্র্যাকে ট্রেন চলাচলে কোনরকম প্রভাব পড়েনি এই দুর্ঘটনায়। তবে লেভেল ক্রসিংয়ের কাছে ঘটা এই দুর্ঘটনায় দীর্ঘক্ষণ বন্ধ ছিল ক্রসিং লেভেল।
দীর্ঘ সময় ক্রসিং বন্ধ থাকায়, আটকে পড়ে সাধারণ মানুষ। গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হচ্ছে দেখে ঘুর পথই ধরেন একাধিক মানুষ। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রেলের এক্সিডেন্ট রিলিফ ট্রেন। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটলো তা খতিয়ে রাখা হচ্ছে রেল আধিকারিকদের তরফে।
রেলওয়ে ট্র্যাক ও সিগন্যালিং সিস্টেমও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। রেলওয়ে ইয়ার্ডের মধ্যে কম গতিতে থাকার কারণে বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে বলে দাবি রেল কর্তৃপক্ষের।