করোনাকে নিয়ন্ত্রণে রেখেছে ভিয়েতনাম, আক্রান্ত ২৫০, মৃত শুন্য

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ COVIED-19 চীন (china) থেকে আগত ভাইরাস। যার জেরে পুরো  বিশ্ব জেরবার। এক সপ্তাহ আগেই সে-দেশে কোভিড-১৯’এর প্রথম দু’জন রোগী শনাক্ত হন। মাত্র তেরোশো কিলোমিটার দূরে চিনের উহানে(uhana) তত দিনে আক্রান্তের সংখ্যা সাত হাজার ছাড়িয়েছে, মৃত ১৭০। জায়গার নাম হ্যানয়।  নানা মিউজ়িয়ম, পার্ক, এমনকি জলে পুতুল-নাটক পর্যন্ত দেখা হল— অবাধে। শহর নয়, পরিচ্ছন্নতার চলন্ত নমুনা। প্রতিটি মানুষ যেন পরিচ্ছন্নতার বোধ তুলে ধরতে ব্যগ্র। ইতিমধ্যে, ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভিয়েতনামে (Vietnam) কোভিড ১৯-এ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০।  ‘করোনাভাইরাস’ (corna virus) ভিয়েতনামের লোকসংখ্যা কম না, দশ কোটির কাছাকাছি। প্রতি বাড়িতে গিয়ে এ ভাবে প্রচার চালানো সহজ নয়। কিন্তু করোনা প্রতিরোধে ভিয়েতনাম স্বাস্থ্য দফতর যা যা কাজ করেছিল, তার মধ্যে শুধু বিজ্ঞাপন নয়, সরাসরি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করাটা ছিল অন্যতম।

ভিয়েতনামে প্রতিটি মানুষের জন্য মানবিক মানসম্পন্ন পরিচর্যামূলক চিকিৎসার সুব্যবস্থা আছে, জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাও খুব উন্নত। তাই রোগ প্রতিরোধ, রোগ হলে মৃত্যুও আটকানো সহজ হয়। নোভেল করোনাভাইরাসের (novel corona virus) ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা এতটাই বেশি যে, এত সতর্কতার পরও সামান্য ফাঁক গলে, মার্চের শেষ কয়েক দিনে এর প্রকোপ বেড়ে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দু’শোয় পৌঁছে যায়। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ওই ১৭ নম্বর আক্রান্তের পরীক্ষা ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে এই প্রকোপ বৃদ্ধির যোগ আছে। জনগোষ্ঠীর মধ্যে এক বার মিশে গেলে তাকে বিচ্ছিন্ন করা কঠিন।

চিন কেবল লকডাউন করেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেনি, আনা যায় না। লকডাউনের সঙ্গে অতি উন্নত মানের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোও সে দেশে আছে। ইউরোপের যে-সব দেশ লকডাউন করেছে, তাদের বেশির ভাগের চিকিৎসা পরিকাঠামো মজবুত, তাই ইটালি ও স্পেন বাদ দিলে বেশির ভাগ ইউরোপীয় দেশেই মৃত্যুহার এক শতাংশের আশেপাশে। এক দিনে চিকিৎসা পরিকাঠামো গড়ে তোলা যায় না, কিন্তু সঙ্কটকালে নতুন কিছু নির্মাণ করা সহজ। গোটা বিশ্ব দেখছে বেসরকারি চিকিৎসার আরাধনা কতটা বিফলে গিয়েছে, যে দেশ যত প্রাইভেট-নির্ভর, সে- দেশ তত বিপদে পড়েছে। ভারত সরকার এই সঙ্কটমুহূর্তে একটা মজবুত সরকার-পোষিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারত।

X