বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি ধারাভিতে (Dharabhi) করোনাভাইরাসের (corona virus) সংক্রমণ নিয়ে আগেই উদ্বিগ্ন হয়েছিলেন অনেকে। কারণ ঘনবসতিপূর্ণ ওই এলাকায় সামাজিক সংক্রমণের সম্ভাবনা প্রবল। সেখানে বৃহস্পতিবার করোনায় মারা গেলেন আর এক মহিলা। তাঁর বয়স ছিল ৭০। এই নিয়ে ধারাভিতে মারা গেলেন তিনজন।
এদিনই কল্যাণওয়াড়ি (Kalyanwadi) অঞ্চলের ওই বাসিন্দার করোনাভাইরাস টেস্টে পজিটিভ আসে। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি পারেলের কেইএম হাসপাতালে মারা যান। ধারাভিতে এখনও পর্যন্ত করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে ১৪ জনের শরীরে। ধারাভিতে প্রথম যে ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁরই মৃত্যু হয়েছিল। মুম্বইয়ের সিওন হাসপাতালে মারা যান তিনি। সেখানেই চলছিল বছর ৫৭-র ওই প্রৌঢ়ের চিকিৎসা। দ্বিতীয় ধারাভি বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে মুম্বইয়ের কেইএম হাসপাতালে। প্রসঙ্গত, ধারাভির করোনা আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন এক ৩৫ বছরের ডাক্তারও।
ধারাভিতে সংক্রমণ যত ছড়াচ্ছে ততই বাড়ছে আতঙ্ক। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে ধারাভির মত জনবহুল এবং ঘিঞ্জি এলাকায় একবার গোষ্ঠী সংক্রমণ ঢুকে পড়লে সমূহ বিপদ দেখবে গোটা মহারাষ্ট্র। তাই ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে উদ্ধব ঠাকরে সরকার। ইতিমধ্যেই বৃহন্মুম্বই পুরসভা এক নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে মুম্বইতে বাড়ির বাইরে বেরলেই মাস্ক পরতে হবে। নিয়ম ভাঙলে গ্রেফতার করা হতে পারে নিয়ম লঙ্ঘনকারীকে। ওষুধের দোকান থেকে কেনা মাস্ক হোক বা বাড়িতে বানানো সুতির মাস্ক—–কাজ হবে সবেতেই। কিন্তু বাড়ির বাইরে যে কাজের জন্যই বেরোন না কেন মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
ভারতে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭৩৪ জন। তাঁদের মধ্যে যাঁদের শরীরে এখনও ওই ভাইরাস রয়েছে, তাঁদের সংখ্যা ৫০৯৫। মারা গিয়েছেন ১৬৬ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৭২ জন।