কেন্দ্রের ভুলের জন্যই বাংলায় করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, অভিযোগ তৃণমূলের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ‘কেন্দ্রের গাফিলতিতেই বাংলায় (West bengal) করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে’, বিস্ফোরক মন্তব্য তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদারের। করোনা ভাইরাসের বিষয় নিয়ে রাজ্যকে বহুবার কোণঠাসা করেছে কেন্দ্র, এমনটা অভিযোগ এসেছে। রাজ্যে করোনা পরীক্ষা কম হচ্ছে, মৃত্যুর সংখ্যা ঠিক মতো জানাচ্ছে না রাজ্য সরকার- এই নিয়ে নানান মতো পার্থক্য দেখা গিয়েছিল রাজ্য এবং কেন্দ্রের মধ্যে।

kakoli

 

হাততালি দিয়ে, মোমবাতি জ্বালিয়ে বা আকাশ থেকে পুষ্পবৃষ্টি করে করোনা রোখা যায় না
রাজ্যে করোনার (COVID-19) দ্রুত প্রসার ঘটার বিষয়ে কেন্দ্রকে দায়ী করেছে সবুজ বাহিনী। হাততালি দিয়ে, মোমবাতি জ্বালিয়ে বা আকাশ থেকে পুষ্পবৃষ্টি করে করোনা রোখা যায় না, বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেছেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। করোনা রুখতে চাই পিপিই। কিন্তু কেন্দ্র কম সংখ্যার এবং অত্যন্ত নিম্নমানের পিপিই পাঠাচ্ছে, যা ব্যবহার অযোগ্য- এমনটাও অভিযোগ আনেন তিনি।

 

পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়ে কোন ভ্রূক্ষেপ নেই কেন্দ্রের
পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রসঙ্গে তৃণমূলের আর এক যোদ্ধা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ তোলেন, কেন্দ্র লকডাউনের বিষয়ে অত্যন্ত দূর্বল। সঠিক পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। এই সংকটের দিনে পরিযায়ী শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সরকার একদমই চিন্তিত নন। তাঁদের সুস্থভাবে ফিরিয়ে আনার বদলে, তাঁদের থেকে টিকিটের দাম চাইছে। পরিযায়ী শ্রমিকেরা খাদ্যের অভাবে খালি পায়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরছে। কিন্তু সেদিকে কোন ভ্রূক্ষেপ নেই কেন্দ্রের।

রাজ্যে করোনা সংক্রমণের জন্য দায়ী কেন্দ্র?
পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর বিষয়ে কেন্দ্র একবার ট্রেন তো একবার বাসের প্রসঙ্গ তুলছেন। আবার করোনা রোগীদের সঠিক চিকিৎসার জন্য পিপিইও পাঠাচ্ছেন না। এমন সব জোরালো অভিযোগের তীর ছুঁড়তে থাকে কেন্দ্রের দিকে তৃণমূলের সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। এর পাশাপাশি তারা আরও দাবী করে, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে রাজ্যের কোন ভূমিকা নেই, সব দায় কেন্দ্রের।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর