নভেম্বরে করোনা সংক্রমণ রেকর্ড সীমা পার করবে, মানুষ সচেতন হলে তবেই মুক্তি ঘটবেঃ রিপোর্ট

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাস, ভারতে (India) এই রোগ প্রবল আকারে বিস্তার লাভ করেছে। চীন দেশের মারণ রোগ হলেও, তা বর্তমানে সমগ্র বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছে। লকডাউন পর্ব পার করেও, এই রোগের হাত থেকে নিস্তারের কোন সঠিক পথ এখনও খুঁজে পায়নি বিজ্ঞানীরা। এই ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের কাজ নিয়োজিত রয়েছে বিশ্বের সমস্য বিজ্ঞানমহল।

নভেম্বরে রেকর্ড ক্রস করবে করোনা
বিজ্ঞানীরা এক গবেষণা মারফত করোনা ভাইরাস বিষয়ক কিছু তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন। তারা জানাচ্ছেন, লকডাউনের পরবর্তীতে কিছুটা হলেও করোনা সংক্রমণের মাত্রা হ্রাস পেয়েছে। তাঁদের ধারণা আগামী নভেম্বরে ভারতে এই মহামারি সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করবে।

china wuhan zhongnan hospital coronavirus patient hpMain 20200129 050520 2 4x3t 992 1

সংকট দেখা দেবে চিকিৎসা ব্যবস্থায়
সংক্রমণের সর্বোচ্চ সীমায় ভারতে আইসিইউ এবং ভেন্টিলেটরের সংখ্যাও হ্রাস পাবে। লকডাউনের কারণে সংক্রমণ কম হলেও, পরবর্তী সময়কে কাজে লাগিয়ে এই সকল প্রয়োজনীয় জিনিসের চাহিদা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের দিকে মেটানো যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে ৫.৪ মাস পর হাসপাতালের বেডও, ৪.৬ মাস পর আইসিইউর বেড এবং প্রায় ৩.৯ মাস পর ভেন্টিলেটর হ্রাস পেতে থাকবে।

Science ventilator 1206950101 2

সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে
বিজ্ঞানিদের রিসার্চ জানাচ্ছে, লকডাউনের ফলে বেশ পরিমাণে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমানো সম্ভব। কিন্তু মানুষকে এই লকডাউনের গুরুত্বটাও বুঝতে হবে, তবেই এটা প্রায় ৮৩ শতাংশ কমানো সম্ভব। এক্ষেত্রে যদি মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং জনস্বাস্থ্যের ব্যবস্থা ৮০ শতাংশ বাড়ানো যায়, তাহলে এই রোগ থেকে আরও দ্রুত মুক্তি ঘটবে।

টেস্টের মাধ্যমেই জানা যাবে ফলাফল
বেশি পরিমাণে টেস্টের ফলে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে জানাচ্ছে বিজ্ঞানীরা। তাই ভারতে যত বেশি পরিমাণে করোনা টেস্ট করা হবে, তত বেশি করে সংক্রমণ ধরা পড়বে। এবং আক্রান্ত ব্যক্তিদের সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সারিয়েও তোলা সম্ভব হবে।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর