বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিনের (vaccine) একটা সংকট তৈরি হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না টিকা। হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে বহু মানুষকেই। তবে এই সংকটের মধ্যেই আরও এক বিপদে পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুরের (medinipur) শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। রেফ্রিজারেটর খুলতেই উধাও স্টকে রাখা ভ্যাকসিন।
ভ্যাকসিনের একটি ভায়াল থেকে সম্ভাব্য ১০ জনকে টিকা দেওয়া যায়। আর ওই হাসপাতালে সংরক্ষণ করে রাখা ১৬ টি ভায়াল চুরির অভিযোগ উঠেছে। যা থেকে আরও ১৬০ জনকে করোনা টিকা দেওয়া সম্ভব হত। জানা গিয়েছে, এই ভায়ালগুলোতে কোভ্যাক্সিনের ডোজ ছিল।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভ্যাকসিনের ডোজ সক্রিয় রাখার জন্য নির্দিষ্ট মাত্রার একটা তাপমাত্রার প্রয়োজন। যে কারণেই হাসপাতালের রেফ্রিজারেটরে ভ্যাকসিনের ডোজ সংরক্ষণ করে রাখা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার হাসপাতালের এক কর্মী রেফ্রিজারেটর থেকে ভ্যাকসিনের ডোজ আনতে গিয়ে দেখেন, সেখানে একটিও ভায়াল নেই। চারিদিকে খুঁজেও কোন লাভ হয় না।
এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনকে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করে। সূত্রের খবর, হাসপাতালের যে ঘর থেকে টিকা চুরি গেছে, সেখানে কোন সিসি ক্যামেরা না থাকার কারণে তদন্তের কাজে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে ধারণ করা হচ্ছে, এই ঘটনার পেছনে নিশ্চয়ই কোন দুষ্টচক্রের হাত রয়েছে। হাসপাতালের কারো সাহায্যে সেখানে ঢুকে, সুযোগ বুঝে টিকা নিয়ে পালিয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে সবদিক খতিয়ে দেখা হবে।
এবিষয়ে হাসপাতালের সুপার নন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘হাসপাতালে একটি খারাপ ঘটনা ঘটে গিয়েছে। আর এর জন্য যেখানে জানানোর প্রয়োজন, সেখানে জানানো হয়ে গিয়েছে। আমি এবিষয়ে কোন কথা বলতে চাই না’।