করোনা ভাইরাসঃ তেলের বাজার দখল করার সংঘর্ষের মধ্যে ভারতের জন্য এল সুখবর

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চীনে (Chaina) উৎপন্ন হওয়া করোনা ভাইরাস (Coorna Vairas) ইতিমধ্যেই সমগ্র বিশ্বের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এবার সেই করোনা ভাইরাস থাবা বসিয়েছে ব্যবসার ক্ষেত্রেও। ব্যপকহারে দাম কমেছে কাঁচা তেলের (Crude Oil), যা ২০১৭ সালের পর একদিনেই বিশাল পরিমাণ নেমে যায়। ক্রুড তেলের দামের পতনের ক্ষেত্রেও সমগ্র বিশ্ব এখন চিন্তিত। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে ভারত (India) লাভবান হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

modi 23
রুশ (Russia) এবং ওপি এই সকল দেশের মধ্যে কাঁচা তেলের দাম নিয়ে আলোচনা চলছে। আগামি এপ্রিল মাস থেকে সৌদি আরবের (Soudi Arab) সবথেকে বড়ো তেলের কোম্পানি ৩.১০ ডলার প্রতি ব্যারেলে কাঁচা তেলের দাম বৃদ্ধি করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অপরদিকে রুশ এবং ওপেক দেশে কাঁচা তেলের দাম সেভাবে বৃদ্ধি পায়নি। রুশের সঙ্গে ওপেকের ৩ বছরের সম্পর্ক তখন শেষ হয় যখন রুশ নতুন দামের পরিবর্তন করতে অস্বীকার করে দেয়।

কিন্তু এই পরিস্থিতিতে এবার ভারতের লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারত তাঁর প্রয়োজনীয় কাঁচা তেল বাইরের দেশ থেকে আমদানি করে। বৈদেশিক বাজারে ক্রূড তেলের দাম কমে যাওয়ায়, দেশের বাজারে করের পরিমাণ কমে যাবে। যার ফলে দেশ এবং দেশের নাগরিক লাভবান হবে। বৈদেশিক শুল্ক কম দিতে হওয়ায়, সরকার সেই অর্থ দেশের উন্নতিতে লাগাতে পারবে। যখন তেলের দাম কমে যায়, তখন সরকারকে কম পরিমাণ শুল্ক দিতে হয়। যার ফলে দেশ সেই বেঁচে যাওয়া অর্থ দিয়ে দেশের উন্নতি প্রকল্পে কাজে লাগাতে পারে। অপরদিকে তেলের দাম কমে গেল, সাধারণ মানুষের খরচাও কিছুটা কমে যায়। যার ফলে তারা আরও বেশি করে তাদের সেভিংস করতে পারে।

crude oil copy.jpg01 770x433 1
রুশ এবং সৌদি আরব থেকে সমগ্র বিশ্বে বেশিরভাগ তেল সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে আমেরিকাও (America) নিজের দেশে দ্রুতগতিতে তেল উৎপাদন করে চলেছে। যার ফলে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো এখন গভীর সংকটের মুখে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত লাভের মুখ দেখতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর