বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনার (COVID-19) প্রভাবে পরিবেশের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ প্রভূত ক্ষতির মুখে। পরিবেশের সম্পদ প্রচুর মানুষ এই রোগে প্রাণ হারাচ্ছেন। এটা যেমন দুঃখের বিষয়, তেমনই এর একটা ভালো দিকও কিন্তু রয়েছে। করোনা আতঙ্কে মানুষজন কম পরিমাণে ঘর থেকে বেরচ্ছেন, বন্ধ রাখা হয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। যার ফলে আগের তুলনায় অনেক কম পরিমাণে এখন পরিবেশ দূষণ (Pollution) হচ্ছে।
প্রতিবছর শয়ে শয়ে মানুষ পরিবেশ দূষণের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন। কিন্তু সেদিকে কখনই সেভাবে সরকার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। কিন্তু আজকের দিনে যখন করোনা মহামারির আকার ধারণ করেছে, তখন সরকার বাধ্য হয়েছে রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল বন্ধ করতে। এই রোগ স্পর্শের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে, বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল, কলেজ, সিনেমা হল ছাড়াও বিভিন্ন জনবহুল কর্মক্ষেত্র। যার ফলে একদিনে কিছুটা হলেও পরিবেশ দূষণ আগের থেকে কমবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
এক সমিক্ষা করে দেখা গেছে, চীনে আগে যে পরিমাণে পরিবেশ দূষণ হত, তাঁর পরিমাণ এখন অনেক কমে গেছে। করোনার ফলে মানুষজন কম ঘর থেকে বেরচ্ছনে, কাজেও যাচ্ছেন না অনেকেই। যার ফলে রাস্তায় যানবাহন কম চলার কারণে পরিবেশ এখন অনেক কম দূষিত। তেমনই দিল্লীতেও (Delhi) সতর্কতা জারি হওয়ার পর বন্ধ রাখা হয়েছে বেশিরভাগ জনবহুল প্রতিষ্ঠান। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
ধারণা করা হচ্ছে দূষণ যুক্ত দিল্লীতেও এবার কিছুটা হলে কমবে দূষণের মাত্রা। সেই সঙ্গে এ রাজ্যেও দূষণের মাত্রা কমতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। জ্ঞানত অবস্থায় শত বিধি নিষেধ আরোপ করার পরও পরিবেশের দূষণের মাত্রা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। তাই মানুষের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে প্রকৃতি না এমন এক পদক্ষেপ নিলেন, যা সারাজীবন মনে রাখবে গোটা বিশ্ব।