বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) বিষয়ে যে দেশ যত বেশি সতর্কতা অবলম্বন করেছে, তারা বর্তমানে ততোটাই সুরক্ষিত আছে। কিন্তু যারা এই মারণ ভাইরাসের বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখেনি, তারাই বর্তমানে বেশি সংকটের মধ্যে রয়েছে। জানুয়ারী মাস থেকে যখন করোনা ভাইরাসের বিষয়টা প্রবল আকার ধারণ করছিল, তখন ভারত (India) এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে সতর্ক হতে শুরু করে দেয়। কিন্তু আমেরিকা (America) প্রথম থেকে সতর্কতা অবলম্বন না করায় তারা এই মূহূর্তে গভীর সংকটের মধ্যে পড়েছে।
চীনের উহান শহরে করোনা ভাইরাসের প্রভাব বিস্তার হওয়ার কিছুদিন পরও চীন থেকে প্রায় ৪ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষ বিমান মারফত আমেরিকায় পৌঁছায়। আমেরিকায় আগত এই মানুষজনদের মধ্যে চীনের উহান থেকেও বেশ কিছু মানুষজনও সেখানে যায়। মার্কিন রাস্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনা ভাইরাসের জন্য বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার আগেই প্রায় ১৩০০ বিমান আমেরিকার ১৭ রাজ্যে এসে নামে। যার মাধ্যমে চীন থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ আমেরিকায় পৌঁছায়।
আমেরিকায় বর্তমানে করোনা ভাইরাস তার ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এখনও অবধি আমেরিকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে এবং মৃতের সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকা একটি বিষয়কে সামনে আনে। তারা দাবী করে, করোনা ভাইরাসের প্রভাবের পরেও চীন থেকে বহু মানুষ বিমান মারফত আমেরিকায় এসেছে। যার মধ্যে উহান থেকেই বেশ কিছু মানুষ এসেছিলেন। রাষ্ট্রপতির নিষেধাজ্ঞা ব্যতিরেকেও প্রায় ৪০ হাজার মানুষ চীন থেকে আমেরিকা আসেন।
আরও শোনা যাচ্ছে, আমেরিকায় আগত এই ব্যক্তিদের চীনের এয়ারপোর্টে সঠিকভাবে কোন পরীক্ষা করা হয়নি। যার ফলে তারা করোনা আক্রান্ত কিনা, তা জানা সম্ভব হয়নি। আমেরিকায় জানুয়ারীর মাঝামাঝি থেকে করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। চীনের বিমান তথ্য মারফত জানা যায়, ওই সময়ে প্রায় ৪ হাজার মানুষ উহান থেকে আমেরিকায় আসে।
অন্যদিকে ভারত করোনা সংক্রমণের খবর পেয়ে এয়ারপোর্টে স্ক্রীনিং পদ্ধতি শুরু করে দেয়। এছাড়া উহানের সঙ্গেও বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। এবং চীন থেকে ফিরিয়ে আনা ভারতীয়দের স্ক্রীনিং করানোর পর সুরক্ষার জন্য তাঁদের কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করে। যার জেরে ভারতে এখনও অবধি করোনা ভাইরাস তার ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারেনি।