করোনা যুদ্ধঃ তথ্য গোপন ও বিভ্রান্তি ছড়ানো নিয়ে বাংলায় রাজনীতি তুঙ্গে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভুল তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ তুলে বাঁকুড়া সদর থানায় সাংসদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন এক ব্যক্তি।  সাংসদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। সৌমিত্র খাঁয়ের (saumitra khan) পর এবার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের (Subhas Sarkar) বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ বাঁকুড়ার এক তৃণমূল নেতা।

corona virus 6

ঘটনাটি ঘটেছে ১৩ এপ্রিল। এদিন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের ফিভার ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় দুই ব্যাক্তির। সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসাবে মৃতদেহ দুটি পরিবারের হাতে তুলে না দিয়ে প্রশাসনের তরফে বাঁকুড়া শহরের একটি শ্মশানে তাঁদের সৎকার করা হয়। কারণ, তখনও পর্যন্ত তাঁদের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাসপাতালে এসে পৌঁছয়নি। ফেসবুক লাইভে এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar)। রাজ্যের শাসকদলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ছিলেন তিনি। কেন লালারসের নমুনা পরীক্ষায় রিপোর্ট হাতে আসার আগে তড়িঘড়ি দেহ দুটি সৎকার করা হল সে বিষয়েও সরব হন সাংসদ। পাশাপাশি, তথ্য গোপনের অভিযযোগ করেন। পরে রিপোর্ট এলে জানা যায় যে, করোনা আক্রান্ত ছিলেন না মৃতেরা।

lockdown 2222

এরপরই বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ তুলে ১৪ এপ্রিল বাঁকুড়া সদর থানার দ্বারস্থ হন স্থানীয় তৃণমুল নেতা জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়। ওই তৃণমুল নেতার কথায়, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রাজ্য সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে, আর এই অবস্থায় বিজেপি সাংসদের ভূমিকা শাস্তিযোগ্য। এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত সুভাষ সরকারের (Subhas Sarkar) সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি বলেন, আইন আইনের পথে চলবে। তবে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য নয়, অত্যন্ত সঙ্গত কারণেই ওইদিন প্রশ্ন তুলেছিলেন বলেই দাবি বিজেপি সাংসদের।


সম্পর্কিত খবর