বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনার সংক্রমণের মধ্যে সবাই মানুষের থেকে দুরত্ব বজায় রেখে চলার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে অনেকেই আবার নিজের মতো করে মানুষের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছে। আর এরকমই একজনের কথা আজ জানাবো আপনাদে, যিনি নিজের প্রাণের পরোয়া না করে দিনরাত মানুষের সেবা করে চলেছেন। উত্তর প্রদেশের মৈনপুরী জেলার বাসিন্দা প্রভাত যাদব গোটা ভারতের প্রশংসা কুড়োচ্ছেন।
প্রভাত বিগত ৯ বছর ধরে ১০৮ পরিষেবার অন্তর্গত অ্যাম্বুলেন্স চালাচ্ছে। আপাতত উনি মথুরা জেলায় কর্মরত। প্রভাত যখন ডিউটিতে ছিলেন, তখন উনি খবর পান যে, ওনার মা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। কিন্তু প্রভাত সেই সময় নিজের দুঃখ চেপে রেখে কর্তব্য পালন করতে থাকেন। আর কর্তব্য পালন করে মায়ের সৎকারের জন্য পৌঁছান।
প্রভাতের বাবা আর ভাই করোনার প্রথম ঢেউয়ে মারা গিয়েছেন। প্রভাত নিজের মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করে নিজের কর্তব্য পালনে ব্যস্ত হয়ে যান, কারণ মায়ের ঋণের থেকেও নিজের কর্তব্যের চিন্তা ছিল বেশি প্রভাতের। মথুরার ১০২ আর ১০৮ অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার কার্যকারী সভাপতি অজয় সিংহ প্রভাতকে বাড়িতে থাকার জন্য বলেন, কিন্তু প্রভাত ওনার কথা না শুনে নিজের কাজে বেরিয়ে পড়েন।
প্রভাত অ্যাম্বুলেন্স চালানোর সময়েই নিজের মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়েছিলেন, কিন্তু সেই সময় তিনি নিজের কর্তব্যে অবিচল থাকেন। তিনি সারারাত ১৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার পর সকালের দিকে মথুরা থেকে ২০০ কিমি দূর মৈনপুরীতে নিজের বাড়িতে পৌঁছান। সেখানে তিনি নিজের মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করে আবারও ডিউটিতে যোগ দেন।