বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলার রেড জোনে থাকা জেলাগুলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুক্রবার প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্যের সমস্ত জেলার পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের মানুষদের শারীরিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানান, রাজ্যের মধ্যে সবথেকে সংক্রমিত এলাকা হাওড়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬২। তবে এখনও অবধি হাওড়ার ৫৮০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের প্রসার রুখতে জারি করা হয়েছে দ্বিতীয় দফার লকডাউন। কিন্তু এর মধ্যেও বেশ কিছু এলাকায় মানুষজনের মধ্যে লকডাউন মান্য করার কোন প্রবনতা দেখা যাছিল না। অবাধ যাতায়াত করছিল মানুষজন, এমনকি পালন হচ্ছিল না সামাজিক দূরত্ব। এই পরিস্থিতিতে হাওড়া রেড জোন অঞ্চলের আয়ত্তায় চলে আসে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দেন যে করেই হোক আগামী ১৪ দিনের মধ্যে হাওড়াকে রেড জোন থেকে অরেঞ্জ জোনে ফেরাতেই হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো গতকাল অর্থাৎ শনিবার থেকেই শুরু হয়ে যায় পুলিশি তৎপরতা। বেশকিছু যাওয়া সিল করে দিয়ে, মোতায়েন করা হয় পুলিশ। এই সল করে দেওয়া জায়গাগুলোতে অত্যাবশ্যকীয় ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের যোগান দিচ্ছে হাওড়া পৌরনিগম। নাগরিকদের বাড়িতে রাখার জন্য চালু করা হয়েছে একটি টোল ফ্রি নম্বর। যে নম্বরে ফোন করলে নাগরিকদের বাড়িতে বিনা ডেলিভারি মূল্যেই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেবে হাওড়া পৌরনিগম।
রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার দেওয়া রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, আক্রান্তদের মধ্যে ২১ শতাংশই রয়েছে হাওড়া জেলা থেকে। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো যাচ্ছে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত যে পরিমাণ সংক্রামিত ব্যক্তির খোঁজ মিলেছে তার ২১ শতাংশের বেশি হাওড়া জেলা থেকেই। এখনও অবধি রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৮৭ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও আইসিএমআর -এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে ভবিষ্যতে আরও বেশি করোনা পরীক্ষা করা হবে।