বাংলহান্ট ডেস্কঃ চীন থেকে আগত করোনাভাইরাস সারা বিশ্বকে তোলপাড় করে দিয়েছে। এই ভাইরাসের জেরে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ৩৩০। এই ভাইরাসের প্রকোপে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭৪ হাজার ৭৬৮ জনের।
এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসের (corona virus) কোনও টিকা বা নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। তাই পরীক্ষামূলক বিকল্প চিকিত্সা পদ্ধতি, আগাম সতর্কতা আর পরিচ্ছন্নতার উপরেই ভরসা রাখছেন চিকিত্সক, বিশেষজ্ঞ থেকে আম জনতা। এই পরিস্থিতিতে আশার কথা শোনালেন বিজ্ঞানীরা। করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা মানুষের রক্ত দিয়েই এই ভাইরাসকে ঠেকানোর কথা ভাবছেন তাঁরা। রক্ত প্লাজমা হল এমন একটা জিনিস রক্ত থেকে সমস্থ কিছু সরিয়ে দেওয়ার পর যে আন্টিবডি পড়ে থাকে। সেই আন্টিবডিটাই হল প্লাজমা। এটি দিয়ে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায়। আর এটিকে কাজে লাগিয়ে চিকিৎসায় সাফল্য মিলেছে।
সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার( South Korea) দুই বয়স্ক নিমুনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসায় সেখানকার চিকিৎসকরা এই একই অসুখ থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তিদের প্লাজমা বা রক্তরস ব্যবহার করেন। চিকিৎসকদের দাবি, এর ফলে ওই দুই বয়স্ক নিমুনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি দ্রুত সেরে উঠেছেন।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, প্লাজমা বা রক্তরস ব্যবহার করে চিকিৎসার এই পদ্ধতি অনেক পুরনো। একে কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপি বলা হয়। বিজ্ঞানীরা এখন এই কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপিকেই কাজে লাগাতে চাইছেন করোনাভাইরাসের চিকিৎসায়।
বিবিসি-তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি চিনের ‘ন্যাশনাল ক্লিনিক্যাল রিসার্চ সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজ ( National Clinical Research Center for Infectious Disease) ’-এ ৩৬ থেকে ৭৩ বছর বয়সী পাঁচ জন রোগীর উপর এই কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করে দেখা হয়েছিল। এখানকার গবেষকদের দাবি, এই পদ্ধতিতে চিকিৎসার পর ১২ দিনের মধ্যেই সবাই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন।